বন্দরে স্বাভাবিক কাজ শুরু হতে পারে আজ

বিপদ সংকেত নামল

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বিপদ সংকেত নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে স্বাভাবিক ঘোষণা করা হলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর অত্যন্ত উত্তাল থাকায় জেটি থেকে বের করে দেয়া একটি জাহাজকেও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এতে করে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এবং তৃতীয় দিনের মতো বহির্নোঙরে সব ধরনের পণ্য হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

আজ সাগর শান্ত হলে সকালের দিকে পাইলট গিয়ে জাহাজগুলোকে ফিরিয়ে আনার পর বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে বিপদসংকেত ৯ ঘোষিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ এলার্ট৪ ঘোষণার পর গত রোববার সকালে বন্দরের জেটি থেকে মোট ১৯টি জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বহির্নোঙরে অবস্থানকারী মাদারভ্যাসেলগুলো থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে সবগুলো জাহাজকে আরো গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গতকাল বিপদ সংকেত কমিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত ঘোষণা করা হয় এবং বন্দরে এলার্ট১ ঘোষণা

করা হয়। বিদ্যমান সংকেতের মধ্যে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলার সুযোগ থাকলেও সাগর উত্তাল থাকায় কোনো জাহাজ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এতে করে বন্দরে কোনো কাজও হয়নি। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে কন্টেনার কিংবা খোলা পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কী গ্যান্ট্রি ক্রেন, পন্টুনসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্টগুলোর ব্যাপারে যেসব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল সেগুলো ক্রমান্বয়ে শিথিল করা হচ্ছে। তবে জাহাজ ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হওয়ায় কোনো কাজ হয়নি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাগর মারাত্মক রকমের উত্তাল। তাই কোনো পাইলটকে বহির্নোঙরে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এতে করে আগেরদিন জেটি থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া জাহাজগুলোকে ফিরিয়ে আনা যায়নি। ফলে বন্দরের জেটি দ্বিতীয়দিনের মতো জাহাজশূন্য রয়েছে। আজ সাগর শান্ত হলে জাহাজগুলোকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়ে মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আজ থেকে বন্দরে পুরোদমে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশ ও আনোয়ারার ওসিকে প্রত্যাহার
পরবর্তী নিবন্ধশাহ আমানত বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু