বন্দরে এলো দুটি কন্টেনার স্ক্যানার

আগামী সপ্তাহে শুরু হবে স্থাপন

জাহেদুল কবির | বুধবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে দুই কন্টেনার স্ক্যানার। চীন থেকে আসা এসব স্ক্যানার স্থাপনের কাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। আরো দুটি স্ক্যানার আসার পথে রয়েছে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ১২টি গেটের মধ্যে ফিক্সড কন্টেনার স্ক্যানার আছে ৫টি গেটে। বাকি ৭টি গেটে নেই স্ক্যানার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৪টিসহ মোট ৬টি স্ক্যানার মেশিন কেনার উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য দুটি স্ক্যানার এসেছে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সবগুলো স্ক্যানার মেশিন না থাকার কারণে অনেক কন্টেনার স্ক্যানিং ছাড়াই পণ্য খালাস হয়ে যাচ্ছে।

আমদানিরপ্তানি সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি পণ্য স্ক্যানিং করে খালাস করা হলে কোনো আমদানিকারক এক পণ্য এনে অন্য পণ্য ঘোষণা দিয়ে বিদেশে অর্থপাচার করতে পারবেন না। আবার বেশি দামের পণ্য এনে কম দামি পণ্য হিসেবে অথবা উচ্চ শুল্ককরের পণ্য আমদানি করে বিনা শুল্ক অথবা কম শুল্কের পণ্য হিসেবে ছাড় করাতে পারবেন না। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি অর্থপাচারও কমবে। অস্ত্র, গোলাবারুদ কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য এনে কেউ খালাস করতে পারবেন না। বন্দরের গেটে কন্টেনার স্ক্যানারের স্বল্পতা কিংবা কারিগরি ত্রুটির কারণে কন্টেনারের জট লেগে যায়। এতে ব্যাহত হয় পণ্য খালাস কার্যক্রম। তাই বন্দর ব্যবহারকারীরা প্রতিটি গেটে স্ক্যানার মেশিন বসানোর জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।

জানা গেছে, বর্তমানে পাঁচটি ফিক্সড কন্টেনার এবং দুটি মোবাইল স্ক্যানারে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। বন্দরের ৪ নম্বর গেট, ৫ নম্বর গেট, সিসিটি২ টার্মিনাল, ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ নম্বর গেটে ফিক্সড কন্টেনার স্ক্যানার রয়েছে। সর্বশেষ গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দরের ১ নম্বর গেট এবং এনসিটি ৩ নম্বর গেটে দুটি ফিঙড স্ক্যানার স্থাপন করা হয়। এছাড়া সিসিটি ২ ও জিসিবি২ নম্বর গেটে রয়েছে মোবাইল স্ক্যানার। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে চীন থেকে দুটি স্ক্যানার মেশিন এসে পৌঁছেছে। এছাড়া আরো দুটি আসার পথে রয়েছে। যে দুটি এসেছে, সেগুলো স্থাপনের কাজ আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। তবে নতুন মেশিন অপারেশনে যেতে আরো দেড় দুই মাস সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় অঘোষিত ও বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনঃবিবেচনার সুযোগ আছে