প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রতিরক্ষা দেয়ালের কারণে সিডিএর নির্মিত স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে মন্তব্য করে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, পানি প্রবাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় বা জলজট না ঘটে সে জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত দিক বিশ্লেষণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা দেয়াল এমনভাবে নির্মাণ করা উচিত যাতে পানি আটকাবে না এবং সিডিএ নির্মিত স্লুইস গেইটের কার্যকারিতা সমুন্নত থাকবে। গতকাল নগরের সমুদ্র উপকূলবর্তী কাট্টলির প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল এলাকায় বন্দরের প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ এলাকা পরিদর্শনকালে একথা বলেন মেয়র।
মেয়র প্রকল্পে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল বাস্তবায়ন শুধু চট্টগ্রামে নয়, সমগ্র দেশবাসীর প্রাণের দাবি। এই দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রী সাড়া দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা, কারিগরি, প্রকৌশলগত সমর্থন ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করেছেন। আমরা চাই এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হউক এবং এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথ আরো সুগম হবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, উত্তর কাট্টলী লিঙ্ক রোডের বাম দিকে বিপুল পরিমাণ সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ ইটভাটাসহ অননুমোদিত স্থাপনা জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করেছে। এ সকল সরকারি খাস জমি সুরক্ষায় এখানে একটি স্মৃতিসৌধ ও ওসেন পার্ক গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রেরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল প্রকল্প এলাকায় পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।