নিজেকে ‘বনবন্ধু’ পরিচয় দিয়ে মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করে গাছ লাগানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জাহিদুর রহমান ইকবাল নামে ওই ব্যক্তিকে গত মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের শাহ আলী ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ২৭০টি সিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮৪টি ডকুমেন্টস প্রসেসিং ফাইল, মুজিব বর্ষের লোগো ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী সম্বলিত ৫০০টি চিঠি, দুটি সিপিইউ, দুটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, দুটি মনিটর, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন এবং একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বুধবার তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুণ-অর-রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাহিদুর রহমান ইকবাল ওরফে ‘বনবন্ধু’ জাহিদুর রহমান ইকবাল মুজিববর্ষের লোগো ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী ব্যবহার করে প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছে। এর মাধমে সে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক বনবন্ধু জাহিদুর ‘ট্রি প্লান্টেশনের’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পরিচয় দিত। মুজিববর্ষে সে বিভিন্ন জায়গা গাছ লাগাবে বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিত। জাহিদুর রহমান নিজেকে কনসালট্যান্ট গ্রুপ লিমিটেড, এসএমই কনসালটেন্ট লিমিটেড, ইইএফ কনসালট্যান্ট লিমিটেডের নামে তিনটি ভুয়া কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং সিইও দাবি করে। কোম্পানিগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র সে দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ভাঙিয়ে লোন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করতো এই প্রতারক। উপ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবো। রিমান্ডে নিলে বোঝা যাবে সে কত লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জাহিদুর রহমান ইকবালের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় প্রতারণা মামলা হয়েছে।
তার প্রতারণার শিকার দাবি করে সিরাজগঞ্জের ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ বলেন, প্রতারক জাহিদুর ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেওয়া কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকার বেশি নিয়েছে। কিন্তু যখন ঋণ অনুমোদন হয়নি তখন টাকা ফেরত চাওয়া হয়। ফেরত না দিয়ে তার নিজস্ব সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে আমাকে পেটায়।