বড় শক্তিগুলোর ক্ষমতার প্রভাববলয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ ব্যবহৃত হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর জন্য তিনি সরকারকে দায়ী করেছেন। গতকাল সকালে নয়া পল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিপূর্ব সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। খবর বাংলানিউজের।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, বাংলাদেশ বড় শক্তিগুলোর মর্যাদার লড়াইয়ে, তাদের ক্ষমতার বলয়ের একটা ক্ষেত্রে হিসেবে ব্যবহৃত হতে চলেছে। তিনি মনে করেন, এর জন্য বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ দায়ী। তারা (সরকার) অবিবেচকের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথাবার্তা বলে কূটনীতিকে পরিচালিত করে দেশকে এইরকম একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদেরকে শপথ নিতে হবে যে, আমরা যেকোনো মূল্যে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার করতে চাই। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, আমরা কোনো গোলযোগ চাই না।
তিনি বলেন, আমরা দেশে সুষ্ঠু অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকে আপনারা সামনে এগিয়ে আসুন। মানুষ এগিয়ে আসছে, জনগণ বেরিয়ে আসছে। এই সরকারের পতন অনিবার্য এবং জনগণের সরকার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশনেত্রী মুক্তি পাবেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করব।