কদমতলী, বটতলী, খেজুরতলা, আমবাগান, নিমতলা বা যে কোন গাছের নামে চট্টগ্রামের যে সকল এলাকা রয়েছে সেসব এলাকায় অনুরূপ বৃক্ষরোপণ করে এলাকার নামের সার্থকতা ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলাজুড়ে ২২ লাখ বৃক্ষরোপণ করবে জেলা প্রশাসন।
গতকাল বিকালে এ উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি সাধারণ মানুষকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং মহানগরের ৬টি সার্কেলের সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) সংযুক্ত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ১৯১টি ইউনিয়ন রয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০ হাজার বিভিন্ন ধরনের ফলজ–বনজ–ঔষধি–নান্দনিক বৃক্ষের চারা রোপন করা হবে। আর চট্টগ্রাম মহানগরে মোট ২ লাখ অনুরূপ গাছের চারা লাগানো হবে। এ হিসেবে আগামী আগস্ট মাসের আগেই ২২ লাখ বৃক্ষরোপণের টার্গেট পূরণ নিয়ে জেলা প্রশাসন কাজ করবে। এছাড়াও উপকূলীয় উপজেলায় বনায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
‘স্কুল–কলেজ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরোপণ করতে হবে। অবৈধ দখলে থাকা সরকারের খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে বনায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায়, বাড়ির আঙ্গিনায় এবং পতিত জমিতে ফলজ বৃক্ষ রোপণ করলে তা মৌসুমী ফলের চাহিদা মেটাবে।’ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে গাছের চারা দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, অন্যান্য দপ্তর–সংস্থার সাথে সমন্বয় করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন। এই কর্মসূচির সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। জেলা প্রশাসক এই কর্মসূচির সাথে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার বিশেষ নির্দেশ দেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে গাছের চারা দিয়ে সেটির পরিচর্যা করে বড় করার জন্য পরামর্শ করেন যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম তৈরি হয়। তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তারাই আগামীতে পরিবেশ রক্ষায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।