চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা কিছুতেই থামছে না। গত ৬ মাসে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে প্রায় ৭০টি জানলার কাচ ভাঙচুর করেছে দুস্কৃতকারীরা। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় বছরে রেলওয়ের কোচ–জানালার কাঁচ ভাঙচুরের ঘটনায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মেকানিক্যাল এবং পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের কোচ এবং ইঞ্জিনগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা হয়। আধুনিক উচ্চগতির কোচ এবং ইঞ্জিনগুলো অনেক দামী। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস আজাদীকে বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা কিছুতেই থামছে না। গত ৬ মাসে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে প্রায় ৭০টি জানলার কাঁচ ভাঙচুর করেছে দুস্কৃতকারীরা।
আমাদের রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং জিআরপি পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজও করছেন। তারপরও চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। রেলওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভিযানে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর দেখা যাচ্ছে যারা এই জঘন্য ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বেশির ভাগই শিশু অথবা টোকাই। তারা বুঝে হোক বা না বুঝে হোক রাষ্ট্রের সম্পদের ক্ষতি করছে। রেল জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কোরিয়া থেকে আমদানি করা ট্রেনের একটি জানলার কাচের দাম ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঢাকা–চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে বলে রেলওয়ে জেলা পুলিশ জানিয়েছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনসচেতনতামূলক সভা করে এলাকায় এলাকায় মানুষজনকে সচেতন করছে। পাথর নিক্ষেপের পর রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে–তাদের বেশির ভাগই শিশু এবং টোকাই।
গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে হয়েছে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস বলেন, পূর্বাঞ্চলে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে দোহাজারী–রামু–সাতকানিয়া–লোহাগাড়া–চকরিয়া–হারবাং–সীতাকুণ্ড– বড়তাকিয়া– আখাউড়া– শশীদল ও ফেনী এলাকায়।