এভাবেই আমি হতবাক, দাঁড়িয়ে আছে সহস্র কালের প্রমাণপত্র।
বালুকাবেলায় একচিলতে মেঘের ওপর ভাসছে ছাড়পত্র,
৪০– ৬০ দশকের লিখিত চিত্রে অন্তরের ব্যবধান নিছক মাত্র।
পুকরের জলে পাথরকুচি পরার মতো মরুভূমিতে শব্দ হয়,
উটের পিঠে নানান মানুষের মানচিত্র দেখা যায়,
দেখা হয় না তা উটের, শুনতে পারে কেবল মানুষের রায়।
উজানে নিয়ে কথা বলে বাতাস, নিজেকে অচেনা মনে হয়,
আমলকী রঙের শাড়ির ভাঁজে চেনা গন্ধ দুর্গন্ধ ছড়ায়।
লাকরীর ধোঁয়ায় মাতম করে রঙধনু, সপ্তমী শূন্যে হারায়।
সাগরের নোনা জল জমজের কোণে, বৃষ্টিরা চলে যায় তেপান্তরে,
এলোকেশী বৈশাখী মেলার সুরে, জমানো পান্তাভাতে আবেগ ভাসে।
বছরের পর বছর আসে, শেষ হবে না বছর পাঁচেক বছরের ত্রাসে।