লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে কক্সবাজার জেলার এফবি আমির হামজার ১৯ মাঝিমাল্লা (জেলে) নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ২ দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা এফভি আর্নিমা-১ নামক ফিশিং জাহাজ বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র বাতাসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ডুবন্ত ট্রলারের সব জেলেকে উদ্ধার করেন। এতে ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করেন এফবি আর্নিমা জাহাজের ক্যাপ্টেন সাঈদ খান। কিন্তু ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উদ্ধারকারী জাহাজের ক্যাপ্টেন সাঈদ খান ও সদরঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক।
উদ্ধার হওয়া ১৯ মাঝিমাল্লারা হলেন-কক্সবাজার জেলার শাহ আলম, পিয়ন খোলার মো. দিদার, আব্দুর রহমান, আব্দুল্লাহ, শামশুল আলম, আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ আবু ছৈয়দ, নবাব মিয়া, শাহাদাৎ, কোরবান আলী, মো. রাসেল, মাহমুদুল হক।ম, ওলি আহমদ, আব্দুল মালেক, নাসির মিয়া, মোহাম্মদ কায়সার, এনামুল হক ও আলী আব্বাস। এরা সকলে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা যায়।
নৌ পুলিশের ওসি মো. একরামুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে ১৯ জেলেসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়। পাশে থাকা মাছ ধরার আরেকটি জাহাজ পরে ১৯ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। নৌ পুলিশ তাঁদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ খাবার-দাবার ও কাপড় চোপড়ের ব্যবস্থা করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন।’
ডুবে যাওয়া ট্রলারটির মালিক কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের খুলিয়াপাড়া এলাকার সোলেমান বাদশা।
এ প্রসঙ্গে এফভি আর্নিমা-১ জাহাজের ক্যাপ্টেন সাঈদ খান বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। আমাদের জাহাজ ছিলো ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। দ্রুত কাছে এসে দেখি ট্রলারের চারপাশে বড় বড় খালি কন্টিনার বাঁধা। সেফটির জন্য কোন রকমে ১৯ জেলে তা ধরে ভাসতে থাকে।’
ক্যাপ্টেন আরও বলেন, ‘জীবন মরণ প্রশ্নের সামনে কান্নায় চিৎকার করতে থাকে জেলেরা। তাঁদের ভাষ্যমতে পাশ দিয়ে অনেক ট্রলার ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলে গেলেও কেউ উদ্ধার করেনি। পরে আমরা সকল জেলেদের নিরাপদে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসি এবং নৌ পুলিশকে খবর দিই।’