বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ৩ মার্চ, ২০২৪ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছানোর পথরেখা কার্যত সেদিনই স্পষ্ট রূপ পায়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মত এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল চলছিল সেদিন। শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ প্রায়। তার মধ্যেই পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ডাকা ছাত্র জনসভায় উপস্থিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সেদিনই সভা থেকে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের চার নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও আবদুল কুদ্দুস মাখন স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ গ্রহণ নেন।

ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সেই সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে নির্বাচিত করা হয় জাতীয় সংগীত হিসেবে। ঠিক হয়, বাংলাদেশের পতাকা হবে সবুজ জমিনের মাঝে লাল সূর্য, মাঝে সোনালী মানচিত্র। বঙ্গবন্ধু সেদিন নির্দেশ দেন, ‘আমি যদি নাও থাকি, আন্দোলন যেন না থামে।’

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় ১০ মার্চ ঢাকায় নেতৃবৃন্দের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। রাওয়ালপিণ্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়, এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পরিষদ অধিবেশন হবে। বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সেই আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখান করেন। তবে জুলফিকার আলী ভুট্টো তা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ভুট্টোর উদ্দেশে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নিয়মে প্রণীত এক শাসনতন্ত্র যদি না চান, তাহলে আপনাদের শাসনতন্ত্র আপনারা রচনা করুন। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র আমরাই রচনা করব।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজান সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের অভিযান শুরু
পরবর্তী নিবন্ধপুরোদমে তেল আসবে আজ থেকে