দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় তিন পর্বের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে।
এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।
পরে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পড়ে শোনানো হয়।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক বাংলা থেকে কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস কোরিয়ান সময় দুপুর ১২টায় দ্বিতীয় পর্বের অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন স্বনামধন্য লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক(অব.)সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। তার আলোচনার প্রেক্ষিতে সিউলের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এশিয়া সেন্টারের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ইয়ুইয়ুং লি বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্বজনিনতা এবং মানবিক গুণের কারণেই দেশকালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়েছে।”
অনুষ্ঠানের তৃতীয় অংশে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের অংশগ্রহণে আরও একটি ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীরা জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণের তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করেন।
এ সময় জাতির পিতার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাঁর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।