‘বাঙালির ধ্রুবতারা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক চতুর্থ দিনের সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন প্রথম কর্মদিবসেই ইংরেজি ভাষায় লেখা নথি ফেরত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন–বাংলা ভাষায় নথি উপস্থাপন করতে। সেদিন তিনি বাংলা ভাষায় নথি লেখার ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারিরও নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষা–ভাবনাকে মূল্য দিয়ে ভাষার অবস্থান পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারলে বাংলাদেশে বাংলা ভাষা পঠন–পাঠনে যে হীনম্মন্যতা তা অচিরে কেটে যাবে।
তারা আরো বলেন, বাঙালি জাতির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। সুতরাং, সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনে বঙ্গবন্ধু যে প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেছেন, তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এগিয়ে যেতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের আগে শিক্ষাক্ষেত্রে একমাত্র মাধ্যম বাংলা ভাষা করতে হবে। বাংলাদেশের সকল নিয়োগ পরীক্ষার ভাষামাধ্যম কেবল বাংলা রাখতে হবে। তবেই আমাদের সন্তানেরা বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করবে। বাংলা ভাষার উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ রুখতে পারবে না।
‘বাঙালির ধ্রুবতারা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিনে গতকাল রোববার ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে বক্তারা উপর্যুক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। নির্ধারিত বিষয়ে মূল প্রবন্ধ লিখেন ভাষাবিদ ড. শ্যামল কান্তি দত্ত। লিখিত প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন লেখক সাংবাদিক আরিফ রায়হান।
চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে শৈলী প্রকাশন আয়োজিত কবি রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, লেখক–সংগঠক গৌতম কানুনগো, কানিজ ফাতেমা লিমা, এম. কামাল উদ্দিন প্রমুখ। এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ সোমবার থেকে ‘বাঙালির ধ্রুবতারা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হলো। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।