আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেটিকে ‘অপব্যাখ্যা’ দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে এমন দাবি করেন বদিউল আলম। খবর বিডিনিউজের।
দুপুরে রংপুরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের এক সংলাপের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ায় ‘বাধা দেখছেন না’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদে ফেসবুকে ‘বক্তব্যের অপব্যাখ্যা সম্পর্কে আমার প্রতিবাদ’ শিরোনামে তিনি লেখেন, “স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ভবিষ্যতের নির্বাচন সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চান। আমি বলেছি যে, আমাদের কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন–কানুন ও বিধি–বিধান সংস্কারের প্রস্তাব করবে। আমি আরও বলেছি, ভবিষ্যতে আইন–কানুন মেনে প্রস্তুত হয়ে নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে তাদের ব্যাপারে আমি কোনো বাধা দেখছি না। এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়।’
কিছু সংবাদমাধ্যম তার বক্তব্যের ‘ভুল ব্যাখা’ দিয়ে যে খবর দিচ্ছে তাকে অনাকাঙ্ক্ষিত দাবি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক–সুজন সম্পাদক বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, বিপুল সংখ্যক ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগ ও প্রাণহানির বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে আমি নানানভাবে ভূমিকা রেখেছি এবং নানান ত্যাগ স্বীকার করে সেই ভূমিকা অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমার বক্তব্যের ভূল ব্যাখ্যা প্রচার আমাকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। আমি মনে করি, এ ধরনের অপপ্রচার শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধের রক্তকে অস্বীকার করার শামিল।’
রংপুরে বদিউল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নোন্তরে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো রকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিংবা কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরে। এ সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বদিউল আলমের বক্তব্য প্রত্যাখান করা হয়। তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।