কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার রোধ ও হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ার হুমকির মুখে তৃতীয়বারের মতো লকডাউন শুরু করেছে ফ্রান্স। শনিবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের এ পর্বে সব স্কুল ও জরুরি নয় এমন সব দোকানপাট চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে আর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে, জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজের।
শুক্রবার দেশটির ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলোতে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৪৫ জন বেড়েছে, পাঁচ মাসের মধ্যে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোভিড রোগীদের জন্য হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফ্রান্সের হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে এখন প্রায় পাঁচ হাজার রোগী ভর্তি আছে। শুক্রবার দেশটিতে রেকর্ড ৪৬ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আর ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে দেশটির বাসিন্দাদের তাদের নিজেদের বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যেতে হলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। আরেকটি লকডাউন দেওয়া ছাড়াই করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনার আশা প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হল না। ইউরোপজুড়ে করোনাভাইরাস টিকা কর্মসূচির গতি ধীর হয়ে যাওয়ার মধ্যেই মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। ফ্রান্সকেও টিকা কর্মসূচির গতি বাড়াতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে বেশ কয়েকটি নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। ইস্টার পরবের সময় সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফ্রান্সের প্রতিবেশী দেশ ইতালিও শনিবার থেকে তিন দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে।