ফ্যাসিবাদ নির্মূলের আগ পর্যন্ত নির্বাচন অপ্রাসঙ্গিক : নাসিরুদ্দিন

| বৃহস্পতিবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দেশে ফ্যাসিবাদের দোসরদের নির্মূল করার আগ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপ্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী। ৭২ এর সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজের।

নির্বাচন কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিরুদ্দিন বলেন, এখনো দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা হয়নি। যতদিন পর্যন্ত দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ সমূলে নিশ্চিহ্ন না হবে, ততদিন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিটিং ছিল। আমরা দেখেছি সেখানে তারা হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের যে অংশগুলো রয়েছে, সেগুলো তারা এখনো রাখা বা বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিএনপির বিবৃতিতে দেখেছি যে তারা বলেছে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে এবং রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি স্পষ্ট করে বলতে চাই, চুপ্পু (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) যদি অপসারণ না হয়, তাহলেই সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে নাসিরুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টি এবং অপ্রাসঙ্গিক দল বাদে প্রাসঙ্গিকভাবে যে দলগুলো রয়েছে আমরা গণঅভ্যুত্থানে যে শক্তিটা রয়েছে, তাদেরকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছি। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট রেজিমের কোনো অংশ বাংলাদেশ আমরা বিরাজমান দেখতে চাই না। এর ফয়সালা রাজনৈতিকভাবে করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা তাদের নিকট আহ্বান রাখছি যে আপনারা বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না, ছলচাতুরির আশ্রয় নেবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ফ্যাসিস্ট রেজিমের অংশ চুপ্পুকে অপসারণের আন্দোলনে না আসে, আমরা তাদেরকে ত্যাগ করে একসাথে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা তাদেরকে বাদ দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে তার সমাধান করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমামলা করতে এসে নিজেই গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামি
পরবর্তী নিবন্ধসংবিধান ও রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক