ফের শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও, চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২২ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পাস করানোর দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা একটা অংশ। গতকাল সোমবার দুপুর দুইটা থেকে বোর্ডে অবস্থান নিয়ে ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এর আগে গত রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বোর্ড চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া রাতেও শিক্ষার্থীরা বোর্ডের সামনে অবস্থান করেন। গতকাল দুইটা থেকে শুরুতেই মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বোর্ডের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় কেউ বোর্ড থেকে বের হতে পারেনি। কেউ ঢুকতেও পারেনি।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সদ্য প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে তারা সন্তুষ্ট নন। তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের নামে বৈষম্য করা হয়েছে। তাই তাদের সব বিষয়ে পাস করিয়ে দিতে হবে।

এক শিক্ষার্থী বলেন, গত বৃহস্পতিবার এক দফা দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। দ্রুত এক দফা দাবি মেনে নিতে হবে। নয়তো আন্দোলন চলবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা বোর্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম। আন্দোলনে বোর্ড কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ঘটনাস্থলে গতকাল সকাল থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনোভাবেই বুঝতে চাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। তাদের একটাই দাবি যে তাদের পাস করাতে হবে।

এক কর্মকর্তা আজাদীকে জানান, আমরা ৫টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিলাম। এরপর আমরা বের হলেও বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যরা অবরুদ্ধ ছিলেন।

বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। এখানে কারও বিষয়ে বৈষম্য করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান আজাদীকে বলেন, আমরা রাত আটটা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিলাম। শিক্ষার্থীদের আমরা যা বলার বলে দিয়েছি। তারা কিছুই শুনছে না। এখন আর আমাদের হাতে কিছু নেই। সেখানে পুলিশসেনাবাহিনী রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজনকে গুলি করে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধহালিশহর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল