ফেরি থেকে নদীতে লাফ, চারদিনেও সন্ধান নেই জনির

তিন পুত্রকে সাথে নিয়ে নতুন ঘরে উঠা হল না অঞ্জুশ্রীর

রাউজান প্রতিনিধি | শনিবার , ৬ জুলাই, ২০২৪ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

কালুরঘাট ফেরির পাঠাতন থেকে নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ জনির (৪০) এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্বজনরা এখনও নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় খুঁজে ফিরছেন তাকে। তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা টুটুন মাহজন জানিয়েছেন, প্রয়াত মুকান্দ মুখার্জির পুত্র জনি, রণি ও রকি। তিন ভাই গ্রামে জায়গা কিনে একটি ঘর করছেন। ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কথা ছিল আগামী ১১ জুলাই তিনভাই বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠবেন। কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হলো না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অঞ্জুশ্রী মুখার্জির। ছেলেকে হারিয়ে তিনি বাকরুদ্ধ। কাতালগঞ্জ রাধামাদব আঁকড়ার বাসায় এখন পুত্র শোকে তিনি কাতর।

দুই ভাই রণি ও রকি তাদের ভাইয়ের লাশ খুঁজে পেতে এখনো নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজ ভাইয়ের লাশের সন্ধানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি সব বিভাগ এখনো তৎপরতা চালাচ্ছেন। রণি নদী পাড়ের বসবাসকারী সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে কেউ নদীতে ভাসমান দেহ দেখে থাকলে অন্তত সংবাদটি যেন ৯৯৯ ফোনে অবহিত করেন। রণি বলেন, জনির শোকাহত স্ত্রী গামের্ন্টস কর্মী মুক্তা মুখার্জিসহ তাদের তিন কন্যা খাওয়া নাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তারা বলেছেন অন্তত লাশটি পাওয়া গেলে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতেন তারা। লাশ না পাওয়ায় এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, মানসিকভাবে অসুস্থ আত্মাহুতি দেয়া জনি কাতালগঞ্জ আনিকা ক্লাবের সামনে একটি টং দোকানে চা, পান সিগেরেট বিক্রি করতেন। পারিবারিক অশান্তির মধ্যে তিনি গত ২ জুলাই কালুঘাটে এসে ফেরিতে উঠে লাফিয়ে পড়েন নদীতে। সেই থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধরোটারি ক্লাব অব অপরূপ চট্টগ্রামের কমিটি গঠন