চুড়ি-লেইস ফিতার ডাক দিয়ে ইয়াবা বিক্রি! অন্য ১০ ফেরিওয়ালার মতোই ভাব। হাতে চুড়ি, লেইস ফিতার বাক্স। মুখে চিরচেনা সেই হাঁক- ‘লেইস ফিতা লেইস, চুড়ি ফিতা, রঙিন সুতা, রঙিন করিবে মন’। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত গ্রাহক ছাড়া অন্য কারও কাছেই ঘেঁষেন না হকার জসিম। বিক্রিও করেন না কিছু! এই অস্বাভাবিক আচরণ দেখেই তাকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২০০০ পিস ইয়াবা! পরে খাইরুল নামে তার আরও এক সহযোগীকে আটক করা হয়। এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, জসিম উদ্দিন এবং খাইরুল ইসলাম লেইস ফিতা, চুড়ি ফেরির আড়ালে ইয়াবা পাচার করত। আমাদের টিমের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ২০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, জসিম এবং খাইরুল মূলত ইয়াবা বহনকারী। তাদের নির্দিষ্ট বিক্রেতা ও ক্রেতামহল আছে। জসিম বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিত। প্রশাসনের চোখ এড়াতে লেইস ফিতা হকারের বেশ ধরত। কোতোয়ালী থানা পুলিশ তার সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।