ফুটবল লিগ চালু করতে রাস্তা খুঁজছে ডিএফএ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

হঠাৎ করেই আবার আলোচনায় এসেছে চট্টগ্রামের ফুটবল লিগ। গত ৫ আগস্ট দেশে পট পরিবর্তনের আগে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগ শুরুর সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু পট পরিবর্তনের পর সবকিছু ভেস্তে যায়। এরই মধ্যে পট পরিবর্তনের প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেছে। আর এরই মধ্যে পরিবর্তন এসেছে অনেক কিছুর। তবে হঠাৎ করে আবার আলোচনায় প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। গত কয়দিন আগে চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির কিছু কর্মকর্তা (সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ব্যাতিত) দেখা করেছিলেন জেলা প্রশাসকের সাথে। উল্লেখ্য ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক পলাতক রয়েছেন ৫ আগস্টের পর থেকে। তারা জেলা প্রশাসককে ফুটবল লিগ শুরু করার আহবান জানান। তারই প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলামের কাছে। তিনি গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগের দল গুলো নিয়ে সভা আহবান করেছিলেন। সে সভায় দশটি দলের মধ্যে মাত্র চারটি দল খেলতে রাজি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএফএ সভাপতি। সেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘ জানিয়েছে তাদের খেলার সম্ভাবনা ফিফটিফিফটি। ছয়টি দল খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। দল গুলোর সিদ্বান্ত জানার পর গতকাল ডিএফএ সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম, সিজেকেএস সাবেক অতিরিক্তি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দীন শামীম এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ওয়াহিদ দুলাল দেখা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদিউর রহিম জাদির সাথে দেখা করেন। তারা দল গুলোর মনোভাবের কথা তাকে জানান। যেহেতু এটা প্রিমিয়ার লিগ সেহেতু দল গুলোর সম্মতি ছাড়া যে লিগ চালু করা সম্ভবনা সে বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডিএফএ কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন নতুন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে বসে এ বিষয়ে একটি সমাধান বের করা যায় কিনা সে চেষ্টা করার। নতুন সিটি মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর সুবিধাজনক একটি সময়ে তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন ডিএফএ সভাপতি। এদিকে ফুটবল লিগকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই যেন তৎপরতা বেড়ে গেছে স্টেডিয়াম এলাকায় একটি চক্রের তেমনটি অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্লাব কর্মকর্তা। ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক পট পরিবর্তনের পর থেকে পলাতক। তারা আসেননা স্টেডিয়াম এলাকায়। কমিটির বেশিরভাগ কর্মকর্তা এখন স্টেডিয়ামে আসেননা। গুটি কয়েক কর্মকর্তা যারা আসেন তারা ফুটবল লিগ শুরু করার নানা ফর্মুলা প্রদান করছেন। এদিকে স্টেডিয়াম এলাকায় ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির একটি অংশের নামে দুটি ব্যানার টানানো হয়েছে। যেখানে ফুটবল লিগ শুরুর কোন দাবি না থাকলেও দাবি করা হয়েছে ডিএফএ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ। তবে ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই ব্যানার তারা লাগায়নি। তাহলে প্রশ্ন উঠে তাদের নামে এই ব্যানার লাগালো কারা। খেলোয়াড় সমিতির কর্মকর্তারা অবশ্য দুজনের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়ছেন। তাদের একজন রেফারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যজন মোশারফ হোসেন লিটন নামক এক কাউন্সিলরের দিকে। এদের মধ্যে রেফারী সমিতির সাধারন সম্পাদক রেফারী সমিতিতে জুয়ার বোর্ড বসানোর অভিযোগে স্টেডিয়ামে আজীবনের জণ্য নিষিদ্ধ। যদিও রেফারী সমিতির তৎকালীন সভাপতি যিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সেই আ জ ম নাছিরের কৃপায় তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তবে তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক কর্মকর্তার কাছে স্বীকার করেছেন তিনি এ ধরনের কোন ব্যানার লাগাননি। তারও সন্দেহ সেই লিটনের দিকে। যে কিনা আবার বিএনপি নেতা হারুন হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামী। আ জ ম নাছিরের কৃপায় সেই লিটন মামলার আসামী হয়েও ছিলেন বহাল তবিয়তে। ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির কর্মকর্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন এসব স্বৈরাচারের দোসররা তাদের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।

প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন খেলোয়াড় সমিতির কর্মকর্তারা। খেলোয়াড় সমিতির কর্মকর্তারা চান যাতে ফুটবল লিগ মাঠে গড়ায়। আর ফুটবলাররাও মাঠে খেলতে পারে। কারন এটাই তাদের একমাত্র জীবিকা। তবে জল ঘোলা করে কাউকে কোন ধরনের ফায়দা নিতে দেওয়া হবেনা বলেও জানান খেলোয়াড় সমিতির কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. ইউনূসের পরামর্শে বিপিএলের নতুন রূপ দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের জারিফ শাবাব ফেস অব এশিয়ার শীর্ষ দশে