ফুটনোট

অপূর্ব জাহাঙ্গীর | মঙ্গলবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

যারা অ্যারন সরকিনের ভক্ত, তাঁরা ধরতে পারবেন কোন সিনেমার সূত্র ধরে কথাগুলো বলবো, so you can skip the first paragraph if you like। যারা জানেন না, কি আর বলবো! এখনকার জমানার সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ক্রিন রাইটারদের মধ্যে একজন if not the most prominent screen writer in hollywood right now। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, মানিবল, স্টিভ জবস-এর মতন সিনেমা লিখে গেছেন এই ভদ্রলোক। জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ওয়েস্ট উইং ও নিউজরুম-এর জনক তিনি। Seriously if you haven’t watched these two televison series, you have not witnessed American televison at it’s best।
Anyway letÕs try to come back to the main topic। কিছুদিন আগে নেটফ্লিক্সে রিলিজ পায় The Trial of Chicago 7, written and directed by Arron Sorkin। শিকাগোয় ডেমোক্রেটিক কনভেনশনে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রোটেস্ট করেছিলেন অ্যাবি হফম্যান, জেরি রুবিন, ডেভিড ডিলেঞ্জার, টম হেইডেন, রেনি ডেভিস, জন ফ্রইন্স ও লি ওয়াইনার। সেই প্রোটেস্ট এবং তার প্রক্রিয়া নিয়েই এই ছবি।
প্রথমবার দেখেই প্রচণ্ড ভালো লাগলো। দীনা আপু দ্বারা মেঝচাচাকে বার্তা পাঠিয়ে দিলাম যে ছবিটা যেন উনি অবশ্যই দেখে, (বেশ কয়েকমাস ধরে উনার আমার এবং সেজো চাচার আবার ছবি দেখাদেখির লেনদেন চলছিল)। উনি দেখলেন কিন্তু ফেরত বার্তা আসলো, উনি পছন্দ করলেন না। কেন? কারণ কি? এতো জমজমাট ছবি! উনি কারণ বর্তালেন। যেই সময় ঘটনাটা ঘটছে সেই সময় আমেরিকায় উনি ছিলেন এবং তাঁর মতে আসল সময়ের উত্তেজনার আধা অংশও এই সিনেমায় ফুটে উঠেনি। আমি বললাম, কি বলেন? আমি নড়তে পারলাম না সিনেমাটা দেখার সময় আর আপনি এটা বললেন। আমিও রিসার্চ করতে নেমে গেলাম, আসলে কি হয়েছিলো। বোঝা গেলো মুরব্বি ঠিকই বলেছেন।
The incident that had happened changed the way American’s looked at war, looked at politics and most importantly, looked at the youth. Which brings me to Abby Hoffman.
এখনকার বাঙালি সমাজের অ্যাবি হফম্যানকে চেনার কথা নয়। একটু পরিচয় করিয়ে দেই তাহলে Abbie Hoffman, was an American political and social activist who co-founded the Youth International Party aka `The Yippies’. He was also a leading proponent of the Flower Power and anti war movement.. কেউ বলবে the hippie prophet, কেউ কমিক, কেউ স্টান্টবাজ, র‌্যাডিকাল। কিন্তু পলিটিকালি এনালাইজ করলে আমি বলবো যে Abbie Hoffman was one of the fathers of the far left of American politics। এখনকার বার্নী স্যান্ডারস, এ ও সি বা অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট মুভমেন্টের জনক, কালচারাল রেভুলুশানের একজন আইকন। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, সব ঠিক আছে, কিন্তু আমার জানতে হবে কেন?
চিন্তা করেন এক প্রকারের Alex Jones কিন্তু অতোটা র‌্যাডিকাল না। কন্সপিরিসি থিওরিতে বিশ্বাসী, provacative গাঁজায় মগ্ন, অশ্রাব্য ভাষায় এমেরিকার তখনকার সরকারকে গালাগালি করা এমেরিকার ফ্ল্যাগ জড়ানো একজন যুবক স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান যার পেছনে ৮০,০০০ এর ও বেশি তরুণ তরুণী সেদিন শিকাগোর পার্কে উপস্থিত হয়েছিলো প্রটেস্ট করতে। Now if you ask me that says something about the guy। বন্দুকের জবাব জবা ফুল, এই ব্যাপারটি এই ভদ্রলোকের মস্তিষ্কের সন্তান।
উনার ব্যাপারে যখন গুতাগুতি করি তখন বেশ কিছুদিন মন্ত্রমুগ্ধ ছিলাম। তারপর আবার কাজে জড়িয়ে যাই, হফম্যান ও আমার অবস্থা দেখে আমাকে লাথি মেরে চলে জান। ভিয়েতনাম যুদ্ধও আর নাই, হফম্যানও নাই, কিন্তু চিন্তাগুলো নিশ্চয়ই দানাবেধে উঠে মাঝে মাঝে। আমি খুব ভাগ্যবান যে আমি সড়ক আন্দোলন দেখেছিলাম, কারণ আমার এখন মনে হয়, ওই আন্দলনে অনেক ক্ষুদে ক্ষুদে অ্যাবি হফম্যানকে উঠে আসতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জীবনের সংগ্রামে এরা হয়তো অনেকেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না, যেভাবে আমরা অনেকে পারিনি। আশা করি একদিন কেউ না কেউ পারবে, এরকম পাগল হতে! দেশকে শুধরানো বোধয় পাগল দ্বারাই সম্ভব।
অ্যাবি হফম্যানের একটি বই আছে, যার নাম Steal This Book। পড়লে ভালো। চুরি করে পড়লে আরও ভালো!
লেখক : প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রত্যাশার নগরী দেখতে চাই
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান : অসম্ভব অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে দেশটি