ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না, স্পষ্ট জানালেন নেতানিয়াহু

| শনিবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

গাজা অভিযান শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে কথা শোনা যাচ্ছে, তার বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইহুদী রাষ্ট্রটির সরকারপ্রধান বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তার অবস্থানের কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েও দিয়েছেন।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধী নেতানিয়াহু গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গাজা অভিযান ‘আরো কয়েকমাস’ চলতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ বিজয়হামাসের ধ্বংস এবং অবশিষ্ট জিম্মিরা ফেরত না আসা পর্যন্ত তা (অভিযান) চলবে। খবর বিডিনিউজের।

গাজা অভিযানে লাগাম টানতে এবং যুদ্ধের টেকসই সমাপ্তির জন্য একটি কার্যকর আলোচনায় বসতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে অনেকদিন ধরেই। সংঘাত শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের মিত্র এবং বিরোধিরাও দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান’ নিয়ে ফের আলোচনা শুরুর কথা বলে আসছে। এই ধারণায় ইসরায়েলের পাশে ফিলিস্তিনিদের জন্যও একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সঙ্কট যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে কূটনৈতিক তৎপরতায় ফেরাবে, এমনটাও আশা করছিল অনেকে। তবে নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মনে হচ্ছে, তার মনোভাব সম্পূর্ণ উল্টো।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে পুরো এলাকার নিরাপত্তায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকতেই হবে। ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায় ওই এলাকাও রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত এবং এটি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের) সার্বভৌমত্বের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমি বিষয়টি আমার মার্কিন বন্ধুদের জানিয়েছি এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন বাস্তবতা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থামিয়ে দিয়েছি।

নেতানিয়াহুর এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেইক সালিভান জানিয়েছেন, ‘দ্বিরাষ্ট্র’ নিয়ে তার সরকার তৎপরতা থামবে না। গাজা পুনর্দখল হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।

সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা গেছে, হামাসকে নির্মূলের অসম্ভব লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেয়ে তাদের হাতে বন্দি অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার পক্ষেই বেশিরভাগ ইসরায়েলি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাখাইনের শহর দখলে বিদ্রোহীরা
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি : সৌদি