ফিবছর বাড়িভাড়া বৃদ্ধি বিপাকে বাড়াটিয়া

হাকিমুন্নেছা | মঙ্গলবার , ৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

প্রতিটি শহরে এখন গলা কাটা ব্যবসা হচ্ছে বাসা ভাড়া। যারা ভাড়াটিয়া আছে তাদের সাথে বাড়িওয়ালারা যেসব নিয়ম কানুন দেখিয়ে চলছে আসলে কি এটা নিয়মনীতির পর্যায়ে পড়ে? অতিরিক্ত দামে বাসা ভাড়া নেয়া। প্রতিবছরের শুরুতে বাসা ভাড়া বাড়াতে হবে এটা কোন নীতিমালায় আছে কিনা আমার জানা নেই, আপনারা জানেন কিনা? পুরাতন একজন ভাড়াটিয়া চলে গেলে নতুন ভাড়াটিয়ার থেকে আবারও ২-৩ হাজার টাকা বাড়িয়ে ভাড়া দেয়। বাসার কারেন্ট বিল ও ভাড়াটিয়ারা দেয়, বাসায় কিছু নষ্ট হলে ভাড়াটিয়া ঠিক করে তাহলে কেন বাড়িওয়ালারা বছরে বছরে ভাড়া বৃদ্ধি করেন?

বাড়িওয়ালাদের কোনো সমস্যার কথা বললে বলেন, না সারলে বাসা ছেড়ে দেন। কেমন মানবতা এগুলো? এমন করোনা কালীন সময়েও অনেক বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া নিয়ে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা প্রতিমাসে ঠিক ভাড়া আদায় করে নিল। ওদের একটু বিবেকে প্রশ্ন জাগলো না এই করোনাকালীন সময় মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে একটু আমরা ভাড়া নিয়ে ওদের সহযোগিতা করি।

প্রতিবছরে যেই ভাড়া বাড়ান এতে আপনাদের বাড়িগুলোর কি খরচ পড়ে যার কারণে ভাড়া বাড়ান আর অতিরিক্ত ভাড়া নেন? কারেন্ট বিল বাসার কোন সমস্যা সবগুলো তো ভাড়াটিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে দেন এরপরও কেন আপনাদের এত চাহিদা? একটা মানুষ নিজের পরিবার, আত্নীয় স্বজন ছেড়ে একজেলা থেকে আরেক জেলায় চাকরি করতে আসে কিছু আয় করার জন্য। তারা ইনকামের বেশি অংশ বাসা ভাড়ায় দিয়ে তাদের পরিবারের জন্য প্রতিমাসে টাকা পাঠাতে হিমশিম খেতে হয়। এখন সবকিছুর দামের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে কষ্ট হচ্ছে তার সাথে এখন বাসা ভাড়াটা এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাড়িওয়ালারা কোন মাসের ভাড়া বাকি রাখতে মানে না। তাই ভাড়াটিয়ারা যেকোন ভাবে হোক ভাড়া দিতে কষ্ট করে হলেও জীবন যুদ্ধ চালিয়ে মাস শেষে বাসা ভাড়ার টাকা যোগাড় করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনন্য আয়োজন
পরবর্তী নিবন্ধপ্রয়োজন মানবিক গুণ সম্পন্ন সৎ ও নৈতিক মানুষ