তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বলেছে অক্টোবরে নাকি ফাইনাল খেলা হবে, আমরাও ফাইনাল খেলার জন্য বসে আছি। কিন্তু ফাইনাল খেলার আগে বিএনপি দেখতে পাবে তাদের টিমে ১১ জন নাই। আগামী কয়েক সপ্তাহে দেখতে পাবে তাদের খেলোয়াড়রা টিম ছেড়ে অন্য দলে পালিয়ে গেছে। যে পথে তাদের নেতা শমসের মবিন ও তৈমুর আলম খন্দকার গেছেন, সেভাবে আরো অনেকেই পালানোর তালিকায় আছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রি–বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি কয়দিন গণমিছিল, কয়দিন অবস্থান, কয়দিন হাঁটা, কয়দিন দৌড় এবং কয়দিন বসা কর্মসূচি দেয়। এখন তাদের বাকি আছে কেবল হামাগুড়ি কর্মসূচি। এখন দেখার বিষয় তারা কখন হামাগুড়ি কর্মসূচি দেয়।
তিনি বলেন, জনগণের উপর বিএনপির কোনো ভরসা নেই, ধীরে ধীরে তাদের সমাবেশ ছোট হয়ে আসছে। এজন্য ঘন ঘন বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেই ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তাতে বলা হয়েছে যারা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হবে তারাই এই ভিসানীতির মধ্যে আসবে। এখন নির্বাচনে বাধা দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপি বলছে নির্বাচন প্রতিহত করবে। তাহলে কারা এই ভিসানীতির আওতায় আসবে প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ভিসানীতিতে সরকার কিংবা আমাদের দল কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। এটির প্রেক্ষিতে বরং বিএনপির উপরই চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো লাভ হয় নাই। একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বিদেশি বন্ধুদের উদ্দেশে বলেন, এইদেশ আমাদের, এদেশে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করব, নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমাদেরকে গণতন্ত্র কাউকে শেখাতে হবে না। আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা জানি। কিভাবে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষা নির্বাচন হয় সেটিও আমরা জানি। দেশে অবশ্যই আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এবং সেই নির্বাচনে ধ্বসনামা বিজয়ের মাধ্যমে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন।
যুবলীগকে আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড এবং শেখ হাসিনার অগ্রগামী বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি এখন গর্তের মধ্যে ঢুকে আছে। মাঝে মাঝে গর্তের ভেতর থেকে মাথা তুলে উঁকি দেয়। তারা সেখান থেকে যাতে বের হতে না পারে সেজন্য যুবলীগকে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ ও সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
