যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরাজয়ের পর অন্যতম প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরাজয় স্বীকার করে আবেগময় এক ভাষণ দিয়েছেন। বুধবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বিকালে তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয় হাওয়ার্ডের সিঁড়ি মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তিনি। জোর করতালির মধ্যে মঞ্চে উঠে কিছুক্ষণ সমর্থকদের দিকে উজ্জ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন হ্যারিস। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছিল শিল্পী বিয়ন্সের গান–ফ্রিডম। খবর বিডিনিউজের।
ভাষণের শুরুতেই হ্যারিস বলেন, আমার হৃদয় আজ পরিপূর্ণ, বেশ আবেঘন হয়ে হ্যারিস তার বক্তৃতা শুরু করেন। সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হ্যারিস বলেন, আমি জানি ফল আশানুরূপ হয়নি। কিন্তু আপনারা যে আমার উপর আস্থা রেখেছেন তারজন্য কৃতজ্ঞতা, আর আমার দেশের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হতাশাজনক পরাজয় স্বীকার করেন হ্যারিস।
তবে লড়াই জারি থাকবে বলেও সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দেন। হ্যারিস জানান, আজ সকালে আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি তাকে এটাও বলেছি যে, আমরা তাকেও তার দলকে ক্ষমতা হস্তান্তরে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি সমর্থকদের আমেরিকার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। হ্যারিস তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে তার স্বামীর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি জিল এবং জো বাইডেন এবং তার রানিং মেট টিম ওয়ালজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার দল, স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা নির্বাচনের পিছনে আক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন।
তিনি ভোটকর্মী এবং স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হ্যারিস বলেন, আমি জানি সবার মধ্যে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। তবে, আমাদের অবশ্যই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে হবে। জনগণের উদ্দেশ্যে হ্যারিস বলেন, গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি হলো ফলাফল মেনে নেওয়া। আর এখানেই গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের পার্থক্য।
হ্যারিস সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা যে শেষ পর্যন্ত লড়েছেন এর জন্যই আমি এতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। বিবিসি জানিয়েছে, এবার হ্যারিসের প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল কমিউনিটি তৈরি এবং জোট গঠন। সবার ঐক্যবদ্ধ মনোভাব দেখে তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন। কারণ তিনি ও তার দল সমর্থকদের জন্যই সফলভাবে নির্বাচন চালিয়ে যেতে পেরেছেন।