ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচন আগামীকাল। গতকাল ছিল প্রচারণার শেষ দিন। এদিন প্রচারণায় প্রার্থীরা নানান অঙ্গীকার দিয়ে স্ব স্ব প্রতীকের পক্ষে ভোট চান। গত সপ্তাহ ধরে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ইছমাইল হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম মিনহাজুল ইসলাম জসিমের প্রচারণা এলাকায় ঝড় তুলেছে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ ইছমাইল হোসেন। বিগত পাঁচ বছরে ৫শ কোটি টাকার উন্নয়নের ফিরিস্তিও তুলে ধরেন তিনি। অপর দিকে সার্বিক পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে একটি মডেল পৌরসভা গড়তে মোবাইল প্রতীকে ভোট চান স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী প্রার্থী) এএসএম মিনহাজুল ইসলাম জসিম। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ভোটের লড়াই হবে এই দুই প্রার্থীর মাঝে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় সরগম ছিল পুরো ফটিকছড়ি পৌরসভা। নানান প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রার্থীরা রাত-দিন ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করে নির্বাচনী আমেজ তৈরি করেছে। পাড়া, মহল্লা, হাট-বাজার সবখানেই চলেছে প্রার্থীদের গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও পথসভা।
ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এএসএম মিনহাজুল ইসলাম জসিম (মোবাইল), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল পাশা চৌধুরী (নারকেল গাছ) প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন প্রার্থী তাঁদের জন্য বরাদ্দকৃত স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন। দিয়েছেন নানান প্রতিশ্রুতির।
এদিকে সাদাকালো নির্বাচনী ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। বিভিন্ন স্লোগানে চলেছে মাইকিং। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে কর্মী সমর্থকদের প্রচারণা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে জল্পনা-কল্পনা, আলোচনা-সমালোচনা। যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন ভোটাররা।
ভোটার মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন বলেন, বুঝে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেব। অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিলে খেসারত দিতে হয়। হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা যেসব প্রতিশ্রুতি দেয় তা যদি বাস্তবায়ন করত তাহলে এলাকায় কোনো সমস্যায় থাকতো না। তাই এ নির্বিচনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেব।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৮ কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৭ ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রয়োগ করবে। গতকাল শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা ও আগামীকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাবু দেবাশীষ দাস।