ফটিকছড়িতে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবেই চলেছে প্রথম দিনের লকডাউন। দোকানপাট বন্ধের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানা হয়নি নির্দেশনা। আন্তঃজেলা সড়ক খোলা থাকায় যান চলাচলও রয়েছে স্বাভাবিক। লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ তদারকিতে সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাঠে ছিলেন। সচেতনতা তৈরিতে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নে নেই কোনো সচেতনতা। খোলা রয়েছে দোকানপাট, চলছে বিকিকিনিও। এছাড়া সড়ক চালু থাকায় রাস্তায় চলাচল করছে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটর সাইকেল। বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ সহজে যাতায়াত করেছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।
ফটিকছড়ি ইউএনও সায়েদুল আরেফিন বলেন, সব এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। সকলে নির্দেশনা মানছে কিনা তা তদারকি করতে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেহেতু এ উপজেলার মধ্যদিয়ে আন্তঃজেলা সড়ক রয়েছে তাই যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে প্রতিটি যানবাহনকে দরজা বন্ধ করে চলাচল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি লকডাউন ঘোষণাকৃত এলাকায় কোনো যাত্রী নামানো ও উঠানো যাবে না।
এর আগে ২২ জুন করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় ফটিকছড়িকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এতে বলা হয়, সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। বাকি সময় তা বন্ধ থাকবে। এছাড়া ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। সকল ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে। লকডাউন থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।