চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, মীরসরাই ও পটিয়াকে বন্যা কবলিত উপজেলা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে বিশেষ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় মীরসরাই, ফটিকছড়ি ও পটিয়া উপজেলাকে বন্যাকবলিত উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই তিন উপজেলার জনগণের জন্য প্রতিদিন ১৫ টন চাল ও ১৫ টন আটা বরাদ্দ হচ্ছে। প্রত্যেক উপজেলায় চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন পাঁচটি স্পটে ৫ টন চাল ও ৫ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
একজন ডিলারকে ১ টন আটা এবং এক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এক কেজি আটা ২৪ টাকা এবং এক কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। উপজেলার যে কোনো জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে এক সাথে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা নিতে পারবেন বলে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফখরুল আলম আজাদীকে বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে নগরীতে ওএমএস কর্মসূচি এবং উপজেলা পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত তিন উপজেলায় (মীরসরাই, ফটিকছড়ি ও পটিয়া) বিশেষ কর্মসূচি চালু হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৫টি পয়েন্টে আমাদের ৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ টন চাল এবং ৫ টন আটা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বন্যা দুর্গত এই তিন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক কেজি চালের দাম ৩০ টাকা এবং ১ কেজি আটার দাম ২৪ টাকা। যে কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ কেজি চাল এবং ৫ কেজি আটা ডিলারের কাছ থেকে নিতে পারবেন। গত সপ্তাহ থেকে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে।