ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউপির শান্তিরহাট বাজারে আগুনে ২৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া চন্দনাইশের দোহাজারীতে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়ে গেছে।
জানা গেছে, শান্তিরহাট বাজারের পার্শ্ববর্তী জলিল সওদাগরের ভাড়া বাসার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই ২৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন আব্দুস ছালামের চায়ের দোকান, আবু তালেবের কসমেটিকসের দোকান, সঞ্জয়ের ফার্মেসি, রুপনের মুদি দোকান, দেলোয়ারের ক্রোকারিজ দোকান, খুরশেদের হার্ডওয়ারের দোকান, জলিলের বসতঘর, রফিক, ইসমাইল, মহসীন, সাহাবউদ্দিন, এমরান ও জসিমের ৮টি ফার্নিচারের দোকান। এছাড়াও দেলোয়ার, জালাল, শেখ আহমেদ ও আব্বাসের ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দাঁতমারা ইউপি সদস্য মো. কামাল বলেন, রমজানের এমন দিনে ২৭টি দোকানের মালিক পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এত বড় একটি উপজেলায় মাত্র একটি ফায়ার সার্ভিস। উত্তর ফটিকছড়িতে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে ১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় লেগে যায়। ততোক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তদন্ত সাপেক্ষে আগুনের সূত্রপাতের ব্যাপারে জানা যাবে।
দোহাজারী : গতকাল ভোর ৪টার দিকে দোহাজারী হাজারী বাড়ির সামনে আগুনে পুড়ে যায় ৬টি দোকান। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা হবে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা। জানা যায়, ভোর ৪টার দিকে দোহাজারী হাজারী শপিং সেন্টারের পাশে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পাশাপাশি ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকরা হলেন অঞ্জন পাল (মুদি দোকান), জাহাঙ্গীর আলম (রেস্তোরা), মো. আলী আকবর (ঝাল বিতান), মো. নাছির উদ্দীন (কুলিং কর্ণার), নুরুল মোস্তফা (পানের দোকান) এবং আবদুর রশিদ (পানের দোকান)। আগুনে হাজারী শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত মো. মুছার মালিকানাধীন রূপসী বিউটি পার্লার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত মো. আলী আকবর জানান, আগুনে তার কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোকানের ক্যাশে রক্ষিত সমিতির ৭০ হাজার টাকাও পুড়ে যায়। পাল স্টোরের কর্মচারী রূপন পাল জানান, চোখের সামনেই পুরো মুদি দোকান পুড়ে গেলেও আগুনের তীব্রতায় কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। শুধু ওই মুদি দোকানেই ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। ধচন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. কামরুল হাসান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের আগেই বড়–ছোট ৬টি দোকান পুড়ে যায়। তবে কুলিং কর্নারের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।