ফটিকছড়িতে সুপারি মজানোর গর্তে নেমে আহত মো. তৌহিদ (৩৯) নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আপন দুই ভাই মো. শহিদ ও মো. শফি মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত তৌহিদ পাইন্দং ইউনিয়নের পশ্চিম হাইদচকিয়া সোনামিয়া সরকার বাড়ির মো. এজাহার সওদাগরের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মহিন উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে সুপারি মজানোর গর্তে নামে মো. শফি ও মো. শহিদ। তারা সেখানে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারানোর পর স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে উদ্ধার করতে আসা মানুষও আহত হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তৌহিদের মৃত্যু হয়। তৌহিদ প্রবাসে থাকতো। সেখান থেকে কিছুদিনের জন্য ছুটিতে এসেছিলেন। ছুটি কাটিয়ে আবারো প্রবাসে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও এবার একেবারেই চলে গেলেন পরপারে। এ ঘটনায় এখনো আরো ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে উদ্ধার করে দ্রুত মেডিকেলে প্রেরণ করেছিল। একটি ৭–৮ ফুট গর্তে সুপারি রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। গর্তটিতে সুপারির গন্ধে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ফলে, অঙিজেনের অভাবে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ৩ জনের মৃত্যু হল।