ফটিকছড়িতে ঝুঁকি নিয়ে ১৬শ’ শিক্ষার্থীর রাস্তা পারাপার

ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি | বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ, ২০২৪ at ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামখাগড়াছড়ি সড়কের পাশে ফটিকছড়ি ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয় সামনের এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। সড়কে কোনো ধরনের ফুট ওভারব্রিজ বা গতিরোধক না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের স্কুল পাঠিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, চট্টগ্রামখাগড়াছড়ি সড়কটি প্রশস্তকরণের মাধ্যমে উন্নীত হলেও সড়কের স্কুলের এ অংশ কোনো ফুট ওভারব্রিজ নেই। এমনকি সড়কটির এ অংশে কোথাও গতিরোধক কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। এতে করে প্রতিনিয়তই স্কুল শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে।

জানা গেছে, বৃহত্তর চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক চট্টগ্রামখাগড়াছড়ি সড়কটি। ফটিকছড়ি পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ঐতিহ্যবাহী ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে আরও দুটি স্কুল। একটি কেজি স্কুল অপরটি ধুরুং জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই ৩ স্কুলে প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিদিন স্কুল ছুটি হলে শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি পার হতে হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল ছুটি হলেই শত শত শিক্ষার্থী অত্যন্ত ব্যস্ত এই সড়কটি পারাপারের জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। অনেক শিক্ষার্থী আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত সড়কটি পার হতে ব্যস্ত। কিছু কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক সন্তানের হাত ধরে সড়ক পার করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের একজন দপ্তরী ও একজন আয়া শিক্ষার্থীদের সড়ক পারাপারে সাহায্য করেন। তারা হাতে লাল পতাকা নিয়ে দ্রুতগতির গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। অনেক চালক গাড়ি থামালেও বেশিরভাগই গাড়ি না থামিয়ে চলে যায়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হতে হয়। অনেকে সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাই কোনো শিক্ষার্থীর বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।

ধুরুং জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, এ এলাকায় অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার হতে হয়। আমরা এর আগে উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি জানিয়েছি। এরপর গতিরোধক হওয়ার বিল পাসের ১ বছর হলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ কাজটি করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের। আমরা সওজ বিভাগকে বিষয়টি অবগত করবো। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, এ ব্যাপারে এর আগে কোন আবেদন বা কেউ আমাদের জানায়নি। মহাসড়কে স্পিড ব্রেকার দেয়াটা আসলে অপরাধ। তবে যদি এ বিষয়ে কোন আবেদন বা দাবি পাই, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ফুড ওভার ব্রিজ নির্মাণের কথা বলা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, কক্সবাজারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু
পরবর্তী নিবন্ধনিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই