ফজলে করিমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা হত্যা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

সাত বছর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে নগরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গত রোববার রাতে চকবাজার থানায় নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমার সামনে থেকে স্বামীকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। মামলায় চট্টগ্রাম রাউজান আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে প্রধান করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেনরাউজান নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এবং বর্তমানে চুয়েট পুলিশ ইনচার্জ এসআই জাবেদ, বাবুল মেম্বার, নাসের প্রকাশ টাইগার নাসের, লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ, সেকান্দর, জসিম, খালেদ, বাবুল রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির ও মোর্শেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ নগরীর চকবাজার থানাধীন চন্দনপুরার পশ্চিম গলির ‘মিন্নি মহল’ বাসায় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এ বি এম ফজলে করিমের নির্দেশে রাউজান থানার এসআই জাবেদ অফ হোয়াইট কালারের টিশার্ট পরিহিত অবস্থায় অস্ত্র হাতে এসে দরজায় নক করে। তখন নুরুর ভাগ্নে রাশেদুল ইসলাম বাসার প্রধান দরজা খুলে দেন। এ সময় বাসায় ঘুমন্ত নুরুল আলমকে বিছানা থেকে টেনে তুলে হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন এসআই জাবেদ। তখন পরিবারের সদস্যদের পুলিশ জানান, পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা পরোয়ানা দেখতে চাইলে পুলিশ দেখাননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাসার তিনটি মোবাইল ফোনসহ নুরুকে বাইরে অপেক্ষমাণ একটি সাদা রঙয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাপড় দিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে ও রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে তার মাথায় গুলি করে হত্যার পর বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীরে লাশ ফেলে যায়। পরদিন ৩০ মার্চ লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩১ মার্চ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় দুটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি গাড়ির চালক ছিলেন হেলাল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রেপ্তারের পর জিম্মা জামিনে মুক্ত আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
পরবর্তী নিবন্ধসমাজসেবক লায়ন নাজমুল শাকেরের ইন্তেকাল