প্রয়োজন সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

চট্টগ্রাম মঞ্চ সুহৃদ-সাংবাদিক সম্মিলনে এম এ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১২ মার্চ, ২০২৩ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, একজন সাংবাদিকের আগামীকাল বলতে কিছু নেই। আগামীকাল দৈনিক পত্রিকা ঠোঙায় পরিণত হবে। তাই সম্পাদক, সাংবাদিক সবসময় আজকের ঘটনা নিয়ে থাকবেন। কোনো কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। আর একটি কথা বলা হয়, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। আমি এই কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করি। কথাটি হবে সত্যনিষ্ঠ সংবাদিকতা। বস্তু নয়, প্রতিটি সংবাদের সাথে মানুষ জড়িত। তাই ‘সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ বলা প্রয়োজন।

গতকাল চট্টগ্রাম মঞ্চের ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুহৃদসাংবাদিক সম্মিলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সৈয়দ উমর ফারুক শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে যে দৈনিক ২২ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছেন তা কতটা চ্যালেঞ্জিং তা আমার চেয়ে বেশি কেউ জানে না। একজন সম্পাদককে প্রতিদিন তার পাঠকের কাছে নতুন কিছু তথ্য তুলে ধরতে হয়। নতুন ঘটনা, নতুন তথ্য না পেলে গ্রাহক থাকে না। আমি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সাথে, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সাথে আছি। আমি জেনে অভিভূত হয়েছি চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য সাংবাদিকের আঁতুড়ঘর দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ। তিনি চট্টগ্রাম মঞ্চের প্রকাশনা যে কোনোভাবে অব্যাহত রাখার কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিগত ২২ বছর ধরে সৈয়দ উমর ফারুকের দক্ষ সম্পাদনায় দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সমাজের অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে তা অকল্পনীয়।

বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ বলেন, আমি শুরু থেকে এই দৈনিকের একজন পাঠক।

সুহৃদসাংবাদিক সম্মিলনের শুরুতে দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক বলেন, আমি চট্টগ্রামে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছি, যাদের অনেকে আজ দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় সুপ্রতিষ্ঠিত। সত্য সবসময় অনুপ্রেরণার। আমি এই দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করতে গিয়ে বন্ধু ও শিল্পপতি মাহাবুব আলীর সহযোগিতা পেয়েছি। তাকে স্মরণ করছি।

স্বাগত বক্তব্য দেন দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সহকারী সম্পাদক সৈয়দ কামরুল হাবীব। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও মহসীন কাজী।

চট্টগ্রাম মঞ্চে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শিপক দেবনাথ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউন্নয়নের স্বার্থে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া সংশোধন নয়