তিন দলেল প্রেসিডেন্ট’স কাপে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের খুব গভীরে যেতে চান না রাসেল ডোমিঙ্গো। বরং লড়াইয়ের আবহে ফেরা এবং ম্যাচ অনুশীলনকেই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ কোচ। শ্রীলংকা সফর পিছিয়ে যাওয়ার পর অনেকটা হুট করেই একদিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। তিন দলের আসরের ফাইনালে রোববার মুখোমুখি হবে শান্ত একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নিজেদের মধ্যে ভাগ করে খেলা টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝ কতটা থাকবে, মান কেমন হবে, এসব নিয়ে সংশয় ছিল যথেষ্টই। ফাইনালের আগ পর্যন্ত যা দেখেছেন ডোমিঙ্গো তাতে বেশ তৃপ্ত তিনি। ছেলেরা বেশ একাগ্রতার সাথে খেলেছে বলেই মনে হয়েছে। বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। ব্যাটসম্যানরা আরও কিছু রান করতে পারলে ভালো হতো। তবে মনে রাখতে হবে, প্রায় সাত মাস ওরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেনি। অনেকেই মাত্র দুই-এক সপ্তাহ আগে দলের সঙ্গে ট্রেনিং শুরু করে।
কোচ হিসেবে আমার নিশ্চিত করার ব্যাপার ছিল ছেলেদের ম্যাচ খেলানো নিশ্চিত করা। ম্যাচের চেয়ে ভালো অনুশীলন আর নেই। সব ম্যাচেই লড়াই হয়েছে। উইকেট সহজ ছিল না। তরুণ কয়েকজন ভালো পারফর্ম করেছে। মুশফিক, রিয়াদ, তামিমের মতো সিনিয়ররা রান পেয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ছেলেরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারছে। টুর্নামেন্টে পেসারদের পারফরম্যান্স এখনও পর্যন্ত অসাধারণ। কিন্তু বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স বোলারদের উল্টো। কেবল মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারেননি। তরুণদের অনেকে প্রত্যাশিতভাবে মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। তবে এটা নিয়ে দুর্ভাবনা নেই ডোমিঙ্গোর। তিনি বলেণ কোনো সংশয়ই নেই যে ওরা সময়ের সঙ্গে ভালো করবে। ম্যাচ খেলতে পারাই এখন গুরুত্বপূর্ণ। পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনা আমার নেই। এসব ম্যাচ দিয়ে ছেলেদের মূল্যায়ন করা খুব কঠিন। নিজেদের মধ্যে খেলা এই টুর্নামেন্টকে ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবেই দেখছি আমি।
এই টুর্নামেন্ট বেশ ভালোই কাজে লাগছে বলে মনে করেন ডোমিঙ্গো। তরুণ ও নতুন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ মিলেছে। শরিফুল ইসলাম যেমন একজন। রিশাদ খুব ভালো বল করেছে। তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান ভালো খেলেছে। ইরফান শুক্কুরকে প্রথমবার দেখলাম। সবাইকে দেখার সুযোগ মিলেছে। সেদিক থেকে এই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা বেশ ভাল।