হাটহাজারীতে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে প্রেমিক-প্রেমিকা সন্দেহে ইভটিজারদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে ভাই-বোন। এসময় তাদের ছাড়াতে এসে মারধরের শিকার হন তাদের বাবা মো. খোরশেদ আলমও। গতকাল সোমবার দুপুরে এনায়েতপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১১টার দিকে সোনাইকুল এলাকার আপন ভাই-বোন কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মুনিয়া পুকুরপাড়স্থ এনায়েতপুর বাজারে পৌঁছলে দুই বখাটে তাদের গতিরোধ করে এবং প্রেমিক-প্রেমিকা বলে অপবাদ দিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে তাদের পিতা খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সাকিব নামে এক ইভটিজারকে আটক করে উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল মনসুর বলেন, উক্ত ঘটনার জের ধরে ইভটিজারদের সাথে শতাধিক ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে জানালার গ্লাসসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আমাকে আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই। এ সময় মো. রুস্তম (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এক বখাটেকে আটকের ঘটনার রেশ ধরে হামলাকারীরা পার্বত্য জেলা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধ রাখে। এসময় উক্ত মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।