প্রিমিয়ার ক্রিকেটে আবাহনীর হ্যাট্রিক শিরোপা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১২ মে, ২০২৪ at ১২:০১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে গত দুই আসরের মতো এবারো শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। ফলে এবার তারা হ্যাট্রিক শিরোপার স্বাদ পেলো। গতকাল শনিবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় আবাহনী ৪৩ রানে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র লাল দলকে পরাজিত করে। ১০ম রাউন্ডের এ জয়ে আবাহনী সর্বোচ্চ ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। আবাহনী ১০ খেলার ১টিতে পরাজিত হয়েছিল। অন্যদিকে সমান খেলায় মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট হয়েছে ২১। তারা ১০ খেলার ৩টিতে পরাজিত হয়। এদিকে ১১তম রাউন্ডের খেলায় আবাহনী বন্দরের বিপক্ষে হেরে গেলে এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন যাদের পয়েন্ট এখন ৯ খেলায় ২১ তারা নিজেদের পরের দুই খেলায় জিতলে উভয় দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৭। কিন্তু তাতে করে আবাহনীর শিরোপা লাভে কোন সমস্যা হবে না। হেড টু হেডে আবাহনীর পক্ষেই শিরোপা থাকবে। গতকাল খেলা শুরু হতে দেরি হয়। মুক্তিযোদ্ধার কোটার খেলোয়াড় মাঠে নামানো নিয়ে আবাহনীর আপত্তির মুখে প্রায় দুই ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। তর্কবির্তকের পরে সিজেকেএস কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে খেলা শুরু হলে খেলার পরিধি নির্ধারিত হয় ৪০ ওভারে। টসে জিতে আবাহনী অধিনায়ক আবু বক্কর জীবন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার সাইদুল ইসলাম সানজু এবং আবদুল মোমিন মিনহাজ যথাক্রমে ৪ ও ৩ রানে বিদায় হন। এরপর মো. শোয়েব ৮ এবং আজমুল হুদা আজাদ ০ রিপনের বলে আউট হয়ে ফেরেন। দলীয় ২৫ রানে চার উইকেট পতনের পর জাতীয় তারকা মোসাদ্দেক সৈকত এবং মোমিনুল হক ৫ম উইকেট জুটিতে ৮৪ রান যোগ করেন। দলীয় ১০৯ রানে মোমিনুল হক মুক্তিযোদ্ধার জুলহাসের বলে বোল্ড হয়ে যান। মোমিনুল ৩১ বলে ৩৩ রান করেন। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক এবং সাইদুল ইসলাম ইমরান ৪০ রান জমা করেন। দলীয় ১৪৯ রানে মোসাদ্দেক সৈকত মোরসালিনের বলে রতনের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। ৬৪ বলে সর্বোচ্চ ৮১ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। তিনি ৩টি চার এবং ৭টি ছক্কা হাঁকান। পরের ব্যাটারদের অবদানে আবাহনীর রানসংখ্যা দ্বিশতের কোঠা পার হয়। অধিনায়ক আবু বক্কর জীবন ২২, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ১৬, মোহাম্মদ হান্নান অপরাজিত ১৫ এবং সাইদুল ইসলাম ইমরান ১২ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ৯ রান। নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম আবাহনী।

মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে সাজ্জাদুল হক রিপন ২০ রান দিয়্যে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট পান ইনজামাম উল হক এবং মোরসালিন মুরাদ। ১টি করে উইকেট নেন রতন দাস এবং জুলহাস সাগর। ২১০ রানের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩৫.১ ওভার খেলে ১৬৬ রান তুলে থেমে যায়। মুক্তিযোদ্ধার শুরুটাও আবাহনীর মতো হয়। দলীয় ৩৭ রানে তারা হারিয়ে ফেলে প্রথম চারটি উইকেট। এরমধ্যে ওপেনার সাফায়েত ইফতি ১৬ রান করেন। বাকি তিন ব্যাটার আল আমিন হোসেন ২,মাসুদ মেহেদি ০ এবং ইমরুল করিম ১ দ্বিঅংকে যেতে পারেননি। দলীয় রান ৬৫ তে উন্নীত হলে অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন দুর্ভাগ্যজনক রান উইকেট শিকার হন। তিনি ২০ বলে ৩৯ রান করেন। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুক্তিযোদ্ধার জাওয়াদ মোহাম্মদ এবং ইনজামাম উল হক ৯৬ রান যোগ করলে দলের রানসংখ্যা হয় ১৬১। জাওয়াদ সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে আবাহনীর জীবনের স্পিনে এলবি হয়ে যান। ৭৭ বলের ইনিংসে জাওয়াদ ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকান।

দু’বল বাদে ইনজামামও বোল্ড হন জীবনের বলে। ৬৮ বলে ৩৫ রান করেন ইনজামাম। দলীয় রান সংখ্যা তখন ৭ উইকেটে ১৬২। জাওয়াদ,ইনজামামের আউটের পর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়ে। এরপরের উইকেটগুলো খুব দ্রুতই হারিয়ে ফেলে তারা। ৩৫.১ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। আবাহনীর পক্ষে অধিনায়ক আবু বক্কর জীবন তার অফ স্পিনে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। ব্যাট হাতে সফল মোসাদ্দেক সৈকত বল হাতেও মুন্সিয়ানা দেখান। ২২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট পান তিনি। আজকের খেলা : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি বনাম আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহোয়াইটওয়াশে চোখ টাইগারদের
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষিত হচ্ছে আজ