বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল–৮ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাসাইল–সখীপুর নিয়ে গঠিত আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাইনি, যাচ্ছি না। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এটা স্বতঃসিদ্ধ কথা। বিএনপি এখন দেশের কথা ভাবছে না। তারা আন্তর্জাতিক ক্ষমতার মাধ্যমে সরকারে যেতে চেষ্টা করছে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বুধবার দুপুরে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারজানা আলমের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৯৬ সালে টাঙ্গাইল–৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হন কাদের সিদ্দিকী। দলের সঙ্গে বিরোধের জেরে তিন বছর পর আওয়ামী লীগ ছেড়ে তিনি গঠন করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। ২০০১ সালে সেই দলের হয়েই গামছা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এই আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আনার চ্যালেঞ্জের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, কেন্দ্রে ভোটার না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর প্রচুর ভোটার কেন্দ্রে এলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমত প্রার্থীদের ভোট দিতে পারল কিনা এটাই হচ্ছে আমার কাছে বড় কথা। কোন দল এল আর কোন দল এল না এটা আমার কাছে বড় কথা না। বড় কথা হচ্ছে, সরকারি প্রভাবমুক্ত স্বতঃস্ফুর্ত নির্বাচন হল কিনা। দেশে আজ অস্থিতিশীল অবস্থা। এখান থেকে আমাদের পরিত্রাণ পাওয়া উচিত।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠনের পর কাদের সিদ্দিকীকে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে। এই সময়টাতে তার যোগাযোগ বাড়ে বিএনপির সঙ্গে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির ২০ দলীয় জোটের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গঠন করা হয়, তাতেও অংশ নেয় কাদের সিদ্দিকীর দল।