দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি। গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল ঘোষণার পর গতকাল চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে নগরী ও এর সংশ্লিষ্ট ৬টি আসনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম এবং জেলার ১০ সংসদীয় আসনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ড. আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নাম ঘোষণা করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতিসহ প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়নপত্র বিতরণ এবং গ্রহণের নির্দেশনাসহ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তি জারির সাথে সাথে প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদানসহ নির্বাচনী সকল কার্যক্রম শুরু করেছেন রিটার্নিং অফিসারগণ। আজ থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিতে পারবেন।
এদিকে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরির জন্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গতকাল থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে চিঠি ইস্যু করা শুরু হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রথম অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা, সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ বা সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক–বিমার প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন। একই প্রতিষ্ঠানের নিচের পদমর্যাদার কর্মকর্তারা সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক আজাদীকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে
গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির জন্য আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে) থেকে চিঠি ইস্যু করা শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলোতে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা মিলে ৪৫ হাজারের মতো লাগতে পারে। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ধাপে ধাপে শেষ করা হচ্ছে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৩৪ হাজার ৫৬০জন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৫ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) প্যানেল তৈরি করা হলেও ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২৪৫জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীরা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিল হলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও আপিল নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি।