প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছাই আজ থেকে

ঋণ ও বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে ব্যাংক ও সেবা সংস্থাকে চিঠি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই প্রক্রিয়া। যা প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা বলে বিবেচিত। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যে সকল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ স্বতন্ত্র মিলে মোট ১৪৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নগরী ও নগরীর সাথে সম্পৃক্ত ৬টি আসনে ৬০ জন এবং জেলার দশটি আসনে ৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও কক্সবাজারের ৪টি আসনে ৩৫ জন, বান্দরবানে ৩ জন, রাঙামাটিতে ৫ জন এবং খাগড়াছড়িতে ৭জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সব মিলে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ১৯৮ জন প্রার্থী এবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়া প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি কিনা এবং বিভিন্ন সেবা সংস্থার যেমনওয়াসা, পিডিবি, বিটিআরসি (টেলিফোনের) এবং গ্যাস বিল বাকি কিনা তার তথ্য চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ব্যাংকবীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদেরকে আপত্তি জানাতে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগসহ ২১টি রাজনৈতিক দল এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দুই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নগরীর তিনটি সংসদীয় আসন এবং নগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট অপর তিনটিসহ মোট ৬টি আসনের ৬০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র এই ৬ আসনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনা মো. তোফায়েল ইসলামের কার্যালয়ে যাচাইবাছাই করা হবে।

অপরদিকে জেলার ১০ আসনের ৮৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র এই ১০ আসনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে যাচাইবাছাই হবে।

যাচাইবাছাইকালে বিশেষ করে প্রার্থীদের ঋণ খেলাপি, বিভিন্ন সেবা সংস্থার বিল খেলাপিদের বিষয়গুলোর পাশাপাশি হলফনামায় তথ্য গোপনসহ আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট জমার বিষয়গুলো যাচাই করা হয়। এসব তথ্য যাচাইবাছাইকালে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে লড়তে আর কোনো বাধা নেই।

দলের বাইরে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে যারা স্বাক্ষর করেনতারা আসলেই স্বাক্ষর করেছেন কিনা নাকিএই ভোটারদের নাম প্রার্থীর পক্ষে কেউ বসিয়ে দিয়েছেন তা সরেজমিনে যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে যান নির্বাচনী কর্মকর্তা বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেয়া এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মাঠ পর্যায়ে যাচাইকালে সত্যতা পাওয়ার পর নির্বাচনী মাঠে চূড়ান্ত প্রার্থী বলে বিবেচিত হবেন। যাচাইকালে যদি কোনো ভোটার অভিযোগ করেন যে তার স্বাক্ষর আদায়ে ভয়ভীতি বা জোর করা হয়েছে অথবা ভুয়া প্রমাণিত হয় তবে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।

অতীতের নির্বাচনগুলোতে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় যারা স্বাক্ষর করেন তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানোরও অভিযোগ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকাদশের চেয়ে দ্বাদশে প্রার্থী কমেছে ৩২ জন
পরবর্তী নিবন্ধশাহজাহান ওমরের মনোনয়ন কৌশলগত : কাদের