সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে, ট্রাস্ট থেকে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালানোর বিধান রেখে একটি আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে। এটি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। সরকারের অনুমতি নিয়ে দেশের যে কোনো জায়গায় ট্রাস্টের শাখা বা কার্যালয় করা যাবে। এর পরিচালনায় থাকবে একটি ট্রাস্টি বোর্ড।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মূল বিষয় হল, চাকুরিরত অবস্থায় একজন শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো সন্তান থাকলে, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থাকলে, তৃতীয় লিঙ্গের কোনো শিশু থাকলে, তাদের লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকবে। বোর্ডের অনুমোদিত কোনো তফসিলি ব্যাংকে সেই তহবিল সঞ্চিত রাখা হবে। সেখান থেকেই ট্রাস্টের ব্যয় নির্বাহ হবে। ট্রাস্ট তার আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং বার্ষিক বিবরণী তৈরি করবে। পরবর্তী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই বার্ষিক প্রতিবেদন দিতে হবে। ট্রাস্টের কাজ হবে শিক্ষক ও পোষ্যদের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া।
শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের শিক্ষা সহায়তার জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য বা বৃত্তি দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের জন্য বৃত্তিমূলক বা অন্যান্য পেশাগত আর্থিক সহায়তা দেবে।