সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন একাদশ গ্রেড থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি জানিয়েছে। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহবুবুল আলম গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, তিনটি শর্তে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সম্মতি জানিয়েছে অর্থ বিভাগে। রোববার জারি করা ওই আদেশটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করতে যেসব শর্ত দিয়েছে সেগুলো মানা, বিধিমালা অনুসারে নিয়োগ এবং অন্যান্য বিধি বিধান ও আনুষ্ঠানিকতা মানার শর্তে এ সম্মতি দিয়েছে বাস্তবায়ন অনুবিভাগ। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল। গত ২৮ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল বিদ্যমান একাদশ গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং দ্বাদশ গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হল। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধান শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সকল স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
গত ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালতে রায়ের প্রেক্ষিতে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণে মন্ত্রণালয়টি বাধ্য হয়।












