প্রাথমিকভাবে ডায়াগোনোসিস করা গেলে চিকিৎসায় ক্যান্সার ভালো হয়

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের সভায় বক্তারা

| সোমবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের সভায় বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন 

প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত হলে ভালোভাবে চিকিৎসা দেয়া যায়। দীর্ঘদিন ধরে খুসখুসে কাশি হওয়া, গলার স্বর বসে যাওয়া, খাওয়ার সময় খাবার আটকে গিলতে সমস্যা হওয়া, অস্বাভাবিকভাবে বুক জ্বালাপোড়া করা, শরীরের কোথাও চাকা চাকা অনুভূত হওয়াসহ এমন কিছু লক্ষণ শরীরে দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল: বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে চমেক হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় বিভাগের মিলনায়তনে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সৌরভ বিশ্বাস। প্রবন্ধে তিনি বলেন, অনেকগুলো ক্যান্সার চিকিৎসায় বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আমাদের এই উন্নয়নশীল দেশে এখনো সরকারি পর্যায়ে এই চিকিৎসা অপ্রতুল ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যয়বহুল। হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। বিশেষ করে দরিদ্র রোগীরা চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ বছরসহ টানা ৩ বছর বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের মূল প্রতিপাদ্যই হচ্ছেক্যান্সার চিকিৎসায় বৈষম্য দূর করি।

আলোচনা সভা শেষে চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগ ও হেমোটোলজি বিভাগ যৌথভাবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করে। পরবর্তীতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি চমেক হাসপাতালের আশপাশে প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, উপপরচিালক ডা. অং সুইপ্রু মারমা, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুছ, অধ্যাপক ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক হাসপাতাল রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ, হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বনি প্রমুখ।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ও রিসার্চ সেন্টার: ক্যান্সার দিবসে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মোহাম্মদ সাইফুল হোসেন, মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ও রিসার্চ সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী, চমেক হাসপাতাল রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ, অধ্যাপক ডা. রাশেদা সামাদ, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, অনকোলজি অ্যান্ড রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ডা. শেফাতুজ্জাহান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী এক মরণব্যাধির নাম। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। সর্বমহলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার ডায়াগোনোসিস করা গেলে চিকিৎসায় রোগী ভালো হয়, রোগীর কষ্টও অনেক লাঘব হয়। এতে চিকিৎসা খরচও অনেক কমে যায়। বর্তমানে মা ও শিশু হাসপাতালে অত্যাধুনিক নতুন রেডিওথেরাপি মেশিন এসেছে। ক্যান্সার রোগীরা কম খরচে এখানে ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা পাবে। এটা চট্টগ্রামবাসীর জন্য অনেক বড় পাওয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলতি বছরেই ঢাকায় আসছেন শাহরুখ!
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনের মাঠে নায়িকা পলি