প্রবাহ

আহমদুল ইসলাম চৌধুরী | বুধবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

ট্রেনে পবিত্র মদিনা থেকে পবিত্র মক্কা

পবিত্র মদিনার সাথে পবিত্র মক্কা ও জেদ্দার স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াতের জন্য সৌদি সরকার মাত্র গত ক’বছর আগে ট্রেন সার্ভিস চালু করে। নাম দেয় হারামাইন হাই স্প্রিড ট্রেন। হারামাইন অর্থ উভয় হারম। অর্থাৎ পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনা। গত মাসে ওমরাহ ও যেয়ারতের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমন করলে পবিত্র মদিনা থেকে এই হারামাইন ট্রেনে পবিত্র মক্কা আসা হয়। হাই স্প্রিড ট্রেনকে আমাদের দেশে বুলেট ট্রেনও বলা হয়। সৌদি সরকার ২০০৯ সালে এ হারামাইন ট্রেনের কার্যক্রম সূচনা করে। ৭/৮ বছর এক নাগাড়ে কাজ চালিয়ে এ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। এ ট্রেন পবিত্র মদিনার সাথে জেদ্দা ও পবিত্র মক্কার যোগাযোগে নতুন মাত্রা। ২০১৮ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর এ ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। একই সালের ১১ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সৌদি আরবের আল আরব কন্ট্রাকটিং কোম্পানী, ফরাসি, চায়না, ইউরোপের সহযোগিতা রয়েছে এ ট্রেন লাইন নির্মাণ বিষয়ে। সাথে তুরস্কেরও সহযোগিতা রয়েছে। তবে এখানে চায়নার সহযোগিতা বেশি। জাপান ইউরোপের চেয়ে চায়নায় বুলেট ট্রেনের ব্যাপকতা রয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ হয়ত চায়না থেকে অত্যধিক সহযোগিতা নিয়েছে।

সৌদি আরব মরুভূমি প্রবণ অত্যধিক গরমের দেশ। ফলে ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও যাতে ট্রেন যোগাযোগ ব্যাহত না হয় সে লক্ষ্যে এখানে কাজ করা হয়েছে। পবিত্র মদিনাপবিত্র মক্কা ৪৫০ কি.মি নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে জেদ্দার সাথে পবিত্র মক্কার রেলের দূরত্ব ধরা হয়েছে ৭৮ কি.মি।

দৈনিক ৩৫টি ট্রেন যাতে যাতায়াত করতে পারে সে লক্ষে কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা পদক্ষেপ নেয়া আছে। বিদ্যুৎ চালিত এ ট্রেনের গতি ৩৫০ কি.মি পর্যন্ত রাখা আছে। আপাতত প্রতি ট্রেনে ৪১৭ জন যাত্রীর যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে।

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে দাম্মাম থেকে রিয়াদ ট্রেন চলাচল রয়েছে। অপরদিকে, তুরস্কের সুলতান আবদুল হামিদ দামেস্ক থেকে পবিত্র মদিনা ১৪৬৪ কি.মি ট্রেন লাইন নির্মাণ করে আর্থিকসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যে। এতে দামেস্ক থেকে পবিত্র মদিনায় স্থলপথে স্বাভাবিক নিয়মে ৪০ দিনের স্থলে মাত্র ৩ দিনে আসা সম্ভব হয়েছিল।

তখন সুলতান আবদুল হামিদ জেদ্দা থেকে পবিত্র মক্কা হয়ে পবিত্র মদিনায় ট্রেন লাইন নির্মাণের কাজ শুরু করে দেয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হেজাজে তুর্কি গভর্নর শরীফ হোসাইন নিজেকে খলিফা/সুলতান ঘোষণা করে তুর্কিদের হটিয়ে দেয়, ট্রেন লাইন ধ্বংস করে দেয়। দামেস্ক থেকে পবিত্র মদিনা ১৯০০ দশকের শুরুতে চালু হওয়া এ বিশাল কল্যাণকর প্রকল্প মাত্র ৮/১০ বছর চালু ছিল। শরীফ হোসাইনের দূরদর্শিতার অভাব, হেজাজ অঞ্চল পরিচালনায় অদক্ষতা প্রকাশ পাচ্ছিল। এতে বাদশাহ আবদুল আজিজের নির্দেশে বাদশাহ ফয়সল ১৯২৪ সালে তায়েফ থেকে তাদের বিশাল বাহিনী নিয়ে এসে পবিত্র মক্কা দখল করে। এর পরপর জেদ্দা, অতঃপর পবিত্র মদিনা দখল করে নেয় অনেকটা বিনা বাধায়। শরীফ হোসাইন জেদ্দা হয়ে সাগরপথে ফিলিস্তিনের দিকে পালিয়ে যায়।

আগেই উল্লেখ করেছি, সৌদি সরকার ২০০৯ সালে পবিত্র মদিনার সাথে পবিত্র মক্কার এই হারামাইন ট্রেন লাইনের কাজ শুরু করে। তুরস্কের সুলতানগণ পবিত্র মদিনা ও পবিত্র মক্কাকে গুরুত্ব দিয়ে ১৮ শতকের শেষের দিকে সেকেলে পদ্ধতিতে ট্রেন যোগাযোগকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে এসেছে। সেখানে ১ শত বছরের অধিক সময় পর সৌদি সরকার এই হারামাইন ট্রেনের গুরুত্ব অনুধাবন করে। ফলে ২০০৯ সালে কাজ শুরু করে ২০১৮ সালে ট্রেন লাইন চালু করা হয়। ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারীর কারণে কিছুদিনের জন্য ট্রেন যাতায়াত বন্ধ থাকে।

অভিজ্ঞতা:

গত নভেম্বরের ৩ তারিখ চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ বিমানে পবিত্র মদিনার গমনের প্রোগ্রাম করি। পবিত্র মদিনায় ২০ দিন অবস্থান করে ২৩ নভেম্বর বুধবার হারামাইন ট্রেনে পবিত্র মক্কায় আসার প্রোগ্রাম করি। আমার ছোট সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক উদ্দিন চৌধুরী রিফাত আমার সাথে পরামর্শ করে তার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহযাত্রীসহ ২ জনের টিকেট কেটে দেয়। আমরা নিয়েছি ইকোনিমি ক্লাস। ভাড়া নির্ধারিত নয়, উঠানামা করে বিমানের টিকেটের মত। হাতে সময় নিয়ে টিকেট কাটাতে আমাদের ভাড়া পড়েছিল জন প্রতি ১২০ রিয়াল। এখানে ট্রেনের ক্লাস ২টি। ইকোনিমি ও বিজনেস ক্লাস। দিনে রাতে ৭/৮ টি ট্রেন রয়েছে। আমরা দুপুর ১২.৩০ মিনিটের টিকেট নিলাম।

আমরা প্রোগ্রাম মতে ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে পবিত্র মদিনায় গমন করে অবস্থান করতে থাকি। আবহাওয়া মনোরম, হালকা ঠান্ডা, মধ্যখানে ২ দিন বৃষ্টি হয়েছিল। আবহাওয়া অত্যধিক শুষ্ক বিধায় শারীরিকভাবে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। তারপরও বার্ধক্যের চাপ বিধায় অসুস্থ হয়ে পড়ি।

২৩ নভেম্বর বুধবার হোটেলে প্রস্তুতি নিয়ে এহরাম পরিধান করে বেলা ১০ টা ৩০ মিনিটের পরপর ট্রেন স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাই। ট্রেন স্টেশন অনেকটা বিমান বন্দরের দিকে। পবিত্র মদিনায় হুদুদে হারমের সীমারেখার মাত্র ১৫০/২০০ মিটার পর এ ট্রেন স্টেশনে। সৌদির নিয়ম ৫ রিয়াল দিলে নিজে ট্রলি ব্যবহার করবে। ১৭ রিয়াল দিলে কোম্পানীর লোক ট্রলি নিয়ে যাত্রীদের সহযোগিতা করবে। সেই লক্ষ্যে ট্রেন কর্তৃপক্ষ কোন সংস্থাকে অনুমতি প্রদান করে। ট্রেন স্টেশনের চত্তরে আমাদের গাড়ি এসে থামলে ইউনিফর্ম পরিধান করা ট্রলি হাতে কয়েকজন লোকের দেখা পেলাম। এরা সকলেই বাংলাদেশী। একজন সহযোগিতা দিয়ে টেক্সী থেকে লাগেজ উঠিয়ে নিয়ে আন্তরিকতার সাথে নিয়ে গেল। দ্বিতল বিশিষ্ট ট্রেন স্টেশন। গাড়ি পার্কিংসহ নানান প্রয়োজনে আন্ডারগ্রাউন্ড থাকবে স্বাভাবিক। সৌদিতে প্রায় স্থানে কড়া এসি, এখানেও তাই। আগে থেকে ধারণা থাকায় গায়ে এহরামের কাপড় ২টি রাখলাম। ট্রলিতে আমাদের লাগেজ রয়ে গেল। এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। যাত্রীর চাপ তেমন না থাকলেও ট্রেন স্টেশন আধুনিকতায় ভরপুর। যাত্রীর আরাম আয়েশ সুযোগ সুবিধার ন্যূনতম ঘাটতি নেই বললেই চলে।

১১.৩০ মিনিটের পর আমাদের ডাক পড়লে আমরা চেকিং করায়ে স্কেলেটারে উপরের তলায় উঠে যাই। এখানে যাত্রীদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাই। কিছুক্ষণের ব্যবধানে ১২ টা ৮/১০ মিনিটে আজানের শব্দ ভেসে আসল। দেখি পেছনে এক পাশে খোলা এরিয়ায় জায়নামাজ কার্পেট বিছানো আছে। আজান চলাকালীন যাত্রীদের সাথে আমরাও ওখানে গেলাম। একজনের ইমামতিতে যোহরের ২ রাকাত কছর নামাজ পড়লাম।

১২.২০ টার দিকে ঘোষণা হলে আমরা প্লাটফর্মে নেমে গিয়ে ১০ নাম্বার নির্ধারিত কোচে সিটে আসন গ্রহণ করি। কোচের ভিতর রেলের কর্মকর্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বললাম এসি যেন সহনীয় পর্যায়ে রাখে। তিনি কথাকে গুরুত্ব দিয়ে নিলেন। ৩০/৪০ সেকেন্ডের ব্যবধানে এসে আমাকে নিশ্চিত করলেন যে, এসি কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

সৌদি আরবের সবক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। এ ট্রেনের ক্ষেত্রেও তা প্রত্যক্ষ করতেছি।

এখানে সিস্টেমটা চীনের গুয়াংজুর মত, যা আমার কাছে মনঃপুত নয়। যাওয়ার সময় যাত্রীদের স্কেলেটারের মাধ্যমে উপরে তুলে নিবে। ওখানে বসায় রেখে ট্রেন ছাড়ার কয় মিনিট আগে স্কেলেটারের মাধ্যমে প্লাটফর্ম নামিয়ে দিবে। অবশ্য স্কেলেটারের পাশাপাশি সিঁড়ি ও লিফট রয়েছে। যারা আগমন করবে তারা ট্রেন থেকে নেমে প্লাটফর্ম হয়ে ট্রেনে স্টেশনে প্রবেশ করে বেরিয়ে আসতে পারবে। উপরের তলায় উঠে অপেক্ষা করে প্লাটফর্মে নামার সিস্টেমটা গমনকারীগণের ক্ষেত্রে। আমাদের কোচ নাম্বার ১০। একেক রুমে ১০ লাইন মাত্র। একেক লাইনের ২ পাশে ২ জন করে ৪ জন মধ্যখানে যাতায়াত। মাত্র ১২ টি ছোট ছোট কোচ। সিটের উপরে ছোট ছোট লাগেজ রাখার ব্যবস্থা আছে। হজ্ব ওমরাহকারীগণ বড় বড় লাগেজ ব্যবহার করে। ট্রেন কর্তৃপক্ষ হয়ত তা অনুধাবন করেছে। সেই লক্ষ্যে কোচে প্রবেশপথের পাশেই ২ দিকে ৮/১০ টি করে বড় বড় লাগেজ রাখার ব্যবস্থা আছে। আমরা ২ জনের বড় বড় লাগেজ ২টি ট্রলিম্যান এখানে রেখে দিলেন। অবশ্য ট্রেন স্টেশনে প্রবেশের পরপর দেশীয় ট্রলিম্যানের পরামর্শে কাউন্টারে ১৭ রিয়াল জমা করলাম। ট্রলিম্যানকে কিছু রিয়াল দিলাম। আমাদের ১০ নাম্বার কোচ ইকোনিমি হলেও আমার কাছে আরামদায়ক মানসম্পন্ন মনে হল। যথাসময়ে ১২.৩০ টা ট্রেন ছেড়ে দিল। ৫/৭ মিনিটের মধ্যে ২/৩ বার করে ঘোষণা দিয়ে মিকাত অতিক্রম করছে ট্রেন ওমরাহ নিয়ত করতে সজাগ করে দিচ্ছিল এবং তা আরবি ও ইংরেজি ভাষায়। প্রায় ৪০ সিটের ছোট কোচ, উপরে ২টি স্ক্রিন দেয়া আছে। এতে আরবি ও ইংরেজিতে ট্রেনের গতি, বাহিরের তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছিল। ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৩ শত কি.মি ২/৩ বার উঠেছিল। সাধারণভাবে ২৫০/২৯০ কি.মি এর মধ্যে উঠানামা করছে। ট্রেন অল্প কাঁপতে ছিল। তা আমার কাছে দুর্বল প্রযুক্তি মনে হল। মধ্যখানে এক স্টেশনে আমাদের ট্রেন থামল না। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে একবার পুরো ট্রেনটি হেঁটে আসলাম। বিজনেস ক্লাসের কোচে একদিকে ২ সিট আরেকদিকে ১ সিট। তাদেরকে ভাড়ার ভিতর নাস্তার প্যাকেট ও পানীয় দেয়া হয়েছে। ট্রেনের ভিতর একটি খাবার দোকান রয়েছে। ওখানে নাস্তা, চা, কফি, পানীয় পাওয়া যায়। প্রায় ২ ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেনটি জেদ্দা স্টেশনে এসে থামল। কতেক যাত্রী নেমে গেল, কতেক যাত্রী উঠল। প্রায় ১০/১২ মিনিটের ব্যবধান ট্রেন আবার ছেড়ে দিল। ৩ টার দিকে এসে পবিত্র মক্কার রুসাইফাতে ট্রেন এসে থামল। এ ট্রেনে যাত্রী প্রায় ৬০%, বাকী সিট খালি। আমাদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী এহরাম পরিহিত। ট্রেন থেকে লাগেজ নামিয়ে বিড়ম্বনায় পড়লাম, কোন ট্রলি নেই। ঐ সময় পবিত্র মদিনার উদ্দেশ্যে একটি ট্রেন ছাড়তেছিল। ফলে হয়ত ট্রলি ম্যানরা ঐ দিকে ব্যস্ত। দুই বার প্রচেষ্টার পর ট্রলি পেলাম, ট্রলিসহ তার সহযোগিতায় লাগেজ নিয়ে স্টেশনে আসলাম। ট্রলি কাউন্টারে ১৭ রিয়াল নিল। আলহেরা হজ্ব এজেন্ট এর ওমরাহ কাফেলা প্রধান মনির ছাহেব স্টেশনে এসে স্বাগত জানায়। বস্তুতঃ দূর যাতায়াতে ট্রেন অনেকটা নিরাপদ আরামদায়ক। তবে ট্রেনের ভাড়া কমানো অত্যাবশ্যক। যেহেতু হজ্ব ওমরাহকারীর কল্যাণে সৌদি সরকার আর্থিকভাবে লাভবান। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হচ্ছে ট্রেন যাতায়াত ব্যবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রেন যাতায়াতের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুরকুয়ালালামপুর, ইন্দোনেশিয়া, চীন, উজবেকিস্তানসহ নানা দেশের ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়। আমাদের দেশ তুলনামূলক অবস্থান মনে হয় অনেক অনেক পিছিয়ে। বিশেষ করে ঢাকাচট্টগ্রাম স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াত অত্যাবশ্যক। ব্রিটিশ পাকিস্তানের পর স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে ৫০ বছর পূর্তি চলমান। আমাদের সরকারের ভাবা দরকার লাকসামনারায়ণগঞ্জ ৭০/৮০ কিলোমিটার কড় লাইন দ্রুত নির্মাণ করে যাতে চট্টগ্রামঢাকা ট্রেন যাতায়াতে ঘোরপথের প্রায় ৬০ কি.মি যাতায়াত কমে যায়। সময় বাঁচবে, তেল বাঁচবে; জনগণের কল্যাণ হবে, দেশেরও কল্যাণ হবে।

লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২২.৩৫ কোটি টাকা