প্রফুল্লতা

শিপ্রা দাশ | সোমবার , ১০ জুন, ২০২৪ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

নিরবচ্ছিন্ন আনন্দে থাকার ক্ষমতা একমাত্র মানুষেরই আছে। সব পরিস্থিতিতে, সকলের সামনে হাসিখুশি থাকার অভ্যাসে মানুষের মনের উপর চাপ কমে এবং একটা সহজ আনন্দের ভাব মুখে ফুটে ওঠে। প্রফুল্ল চিত্ত মানুষের কদর সর্বত্র। সদা প্রফুল্লতাজ্ঞানের একটি লক্ষণ। জগতের সমস্ত ঐশ্বর্যের চেয়েও প্রফুল্ল ও মধুর স্বভাবের মূল্য বহু গুণ বেশি।

সদা প্রসন্ন হাসি মাখা মুখের প্রভাব সুদূর প্রসারী। হাসতে ইচ্ছে করুক আর নাই করুক, মুখে যেন একটা হাসি সদা লেগেই থাকে। তা যদি করা যায় দেখে আমরা নিজেরাই অবাক হয়ে যাব যে, সঙ্গে সঙ্গেই আগের চেয়ে কতটা নিজেকে সুস্থ বোধ করছি। অন্যান্য গুণের কথা ছেড়ে দিলেও, একটু মৃদু হাসি দিয়ে কারো বন্ধুত্ব লাভ করা, কারো মনের ক্ষত সারিয়ে তোলা, ক্রোধ দূর করতে পারা, কাটানো যায় মনের বিষণ্নতা। হাসির এমনই আশ্চর্য শক্তি। কোমল স্মিত হাসি এক অমূল্য বস্তু। অথচ হাসতে কোন খরচ নেই। তাই প্রসন্ন হাসির সৌরভ চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিয়ে জয় করে নিতে হবে বহুমূল্য উপহার বন্ধুত্ব। নিজেকে নিয়ে হাসতে পারার ক্ষমতা পরিণত ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। কখনো কখনো দেখা যায় নিজের ভুল ত্রুটি, আপদ বিপদ, নির্বুদ্ধিতা এবং অপূর্ণতার কথা ভেবে নিজেরই হাসি পাচ্ছে। এ রকম হওয়াই উচিত। হাসতে পারা এক মস্ত সুযোগ। রসবোধ থাকলে অন্যের সামনে অপ্রস্তুত হওয়ার হাত থেকেও বাঁচা যায়। কিন্তু অন্যকে নিয়ে মজা করা বা কটু মন্তব্য করার ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। অন্যের সম্পর্কে কথা যদি একান্তই বলতে হয়, তার ভালো গুণগুলোর কথাই যেন বলি। এভাবেই বিকশিত হোক নিজেদের মনুষত্ব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবার কাছে তার বাবাই শ্রেষ্ঠ
পরবর্তী নিবন্ধসংগীতের সমাজতত্ত্ব