মীরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন ভূঁঞার বিরুদ্ধে ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষরিত এক স্মারকে (নং: মি বাউবি/মীর/০৬/৯৭/২০২৫) এ তথ্য জানা যায়। তাকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞা পেশাগত অসদাচরণ, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন আচরণসহ নৈতিকস্খলনের অভিযোগে গত ৪ জুন থেকে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। ২০১৩–১৪ অর্থবছর থেকে ২০২৪–২৫ অর্থবছর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের নিরীক্ষা সম্পন্ন করে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মোট ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ টাকা ০৫ পয়সা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আত্মসাতকৃত টাকা আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মীরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞার আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা রক্ষায় আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি।’ সভাপতি আরো বলেন, আমরা অবশেষে দ্বিতীয় দফা নোটিশ প্রদান করলে উল্টো আমাদেরকে দেখে নেয়ার নানারকম হুমকি ধমকি প্রদান করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অথচ একমাত্র উক্ত শিক্ষকের দরুণই প্রতিষ্ঠানের সুনাম সবচেয়ে বেশী ক্ষুণ্ন হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, ‘ফাইনাল অডিট রিপোর্ট এখনো দেওয়া হয়নি। খসড়া কপি প্রচার করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অডিট চলাকালে আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। এক তরফা অডিট করা হয়েছে।’
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মীরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপিল এন্ড আরবিট্রি কমিটি বছরে একবার বা প্রয়োজনে একাধিকবার শুনানি করে। আমি সেই কমিটির প্রধান। আমরা শিগগিরই শুনানির আয়োজন করব। শুনানি থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’










