প্রধান ভাড়াটে খুনি আইয়ুব গ্রেপ্তার

লোহাগাড়ায় প্রবাসী হত্যা

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২০ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার পুটিবিলায় প্রবাসী মনসুর আলী হত্যার ঘটনায় কিলিং মিশনের প্রধান আইয়ুব আলী (৩৬) নামে আরেক ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে পার্বত্য বান্দরবানের লামা থানার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আইয়ুব আলী উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পহরচান্দা পশ্চিম পাড়ার মাহামুদুর রহমানের পুত্র।

পুলিশ জানায়, প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধারের দিন শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন, শালিকা রুমন্নান আক্তার ও স্ত্রী রিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য মতে, ১৫ মার্চ গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া খুনি ছাবের আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা। এছাড়া তদন্তে প্রবাসীর স্ত্রী রিনা আক্তারের বিরুদ্ধে স্বামী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা না পাওয়ায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি মতে, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে মেয়ের স্বামীকে হত্যা করতে এক লাখ টাকার বিনিময়ে চার ভাড়াটিয়া খুনি ভাড়া করেন শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রবাসী হত্যার ঘটনায় কিলিং মিশনের প্রধান ভাড়াটে খুনি আইয়ুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়ের স্বামীকে খুন করতে তাকে নিয়োগ দেয় শাশুড়ি। তার নেতৃত্বে আরো তিনজন ভাড়াটে খুনি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। গ্রেপ্তার আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে আগেও একটি খুনের মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। একইদিন সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানায় থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পহরচান্দা ছোট ধলিবিলা হাসনা ভিটার পাহাড়ি টিলার এক ঝিরি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রবাসী মনসুর আলী একই ওয়ার্ডের পহরচান্দা সেকান্দার পাড়া এলাকার ফরিদ আহমদের পুত্র ও ২ সন্তানের জনক। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি দুবাই থেকে দেশে আসেন। গত ১ মার্চ গোপনে শ্বশুরবাড়ি যান মনসুর আলী। রাতে ওৎপেতে থাকা ভাড়াটে খুনিরা শ্বশুরবাড়ির ভেতর দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সেখান থেকে আনুমানিক ৩শ গজ দূরে এক ঝিরিতে ওই প্রবাসীকে মাটিচাপা দেয় খুনিরা। এর ১৩ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅভিবাসন খাতই মূলত স্বনির্ভরতার চালিকা শক্তি
পরবর্তী নিবন্ধগৃহকর নিয়ে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করছে