প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে নারীসমাজ

রাহানুমা মরিয়ম তুলি | বুধবার , ৩১ মার্চ, ২০২১ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্বে নারী ছিল ঘোমটার অন্তরালে। স্বাধীনতার পরবর্তী বছরগুলো নারী সমাজের অগ্রগতির পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। গড়ে উঠেছে বৈষম্যহীন, কল্যাণকর, সংবেদনশীল নারী সমাজ। ছোটবেলায় দেখতাম মা, খালারা কেবল ঘরকন্নার কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতো। শখের বশে কেউ কাথা সেলাই, কাপড় সেলাই বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ করতো। তাদের নিপুণ হাতে তৈরি শিল্প ঘরের চার দেয়ালে শোভা পেত। নারীরা ছিল মজুরি বিহীন গার্হস্থ্য শ্রমেই ব্যস্ত। যুগ বদলেছে, বদলেছে আমাদের নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজের সর্বস্তরে নারীর ভূমিকা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বদা অগ্রগামী। আমরা আমাদের পণ্য নিয়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গেছি। ইন্টারনেটের বদৌলতে গ্রামে-গঞ্জে সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার নারী উদ্যোক্তা।কোভিদ পরিস্থিতিতে অনেক নারী উদ্যোক্তা নিজেদের অর্থনৈতিক সংকট দূর করার জন্যতাদের পণ্যকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। সরকারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের করে তুলেছে দক্ষ। এক্ষেত্রে আমাদের চট্টগ্রামে উইমেন চেম্বার এর প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এর প্রণেতা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের কে দিয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহারের অবাধ সুযোগ। অনলাইন মার্কেটিং এর যুগে নারীরা আজ স্বাবলম্বী। আজ থেকে পনের বছর আগে আমরা কখনোই চিন্তা করতে পারতাম না আমরা আমাদের শিল্পপণ্য ইন্টারনেটের বদৌলতে সবার কাছে তুলে ধরতে পারবো। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সমাজের নারীদের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন করেছে। ই কমার্স, এফ কমার্স এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার নারী উদ্যোক্তা। স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রান্ত লগ্নে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অনেকখানি বদলে গেছে। সমাজে নারীদের অবস্থান নারীর ক্ষমতায়নে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার। নারী উন্নয়নের কান্ডারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে নারীসমাজ। গড়ে উঠবে বৈষম্যহীন এক সুশীল সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদ সাবের