প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন এবং আগামী রোববার পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জনসভা উপলক্ষে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্যে নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে অস্থায়ী বিলবোর্ড স্থাপন উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের প্রতি সবসময় আন্তরিক। চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজের কাঁধে নিয়ে যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে আর কারো দ্বারা সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণসহ অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। সিটি কর্পোরেশনকে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন। এর আগেও বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্প, কূলগাঁও বাস–ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ বহু প্রকল্প দিয়েছেন তিনি। প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক দিক উন্মোচিত হবে। সেই সাথে চট্টগ্রাম নগরী চীনের সাংহাই নগরীর আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরি হবে। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে চতুর্দিকে উৎসব শুরু হয়েছে। সেই উৎসবকে আরো বর্ণিল করতে আমরাও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।
সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে কী কী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বন্দর নগরীকে বর্ণিলভাবে সজ্জিত করছি। শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামত, ফ্লাইওভার, লেন মার্কিং, মিডিয়ান ও ফুটপাতের উভয় পাশে সৌন্দর্যবর্ধন করছি। ফুটপাত ও মিডিয়ানে ফুলের গাছ রোপণ করে সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। বায়েজিদ রোডের দুই পাশে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সীমানা প্রাচীর রং করা হয়েছে এবং সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও মাঠের চারদিকে ভিতরে–বাইরে ব্যাপক পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি নালা–নর্দমা পরিষ্কার ও মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসমাবেশে আসার জন্য ব্যবহৃত সকল রাস্তা ও নালার উপর স্ল্যাব মেরামত ও সংযোজন করা হচ্ছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠের সম্মুখভাগের রাস্তার মিডিয়ান সংস্কার ও বাগান করা হচ্ছে। নগরের গুরত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সড়কবাতি মেরামত ও সংযোজন, বিশেষ করে মাঠের চারপাশে ও সন্নিহিত এলাকায় ফ্লাড লাইটের দ্বারা আলোকায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সমাবেশের দিন মাঠের বাইরে ও ভিতরে পানির ভাউজার ও ভ্যানের সাহায্যে পর্যাপ্ত খাবার পানির সংস্থান করা হবে ও মোবাইল টয়লেট স্থাপন স্থাপন করা হবে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ, মঞ্চ, মাঠের প্রবেশ মুখসমূহ, স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে সিআরবি হতে পলোগ্রাউন্ড যাওয়ার সড়ক ও সন্নিহিত এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনছি। সভাস্থলের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করব। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সমাবেশের দিন মাঠে জেনারেটর স্থাপন করে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সমাবেশে আগত কর্মীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও দুইটি অ্যাম্বুলেন্সের সংস্থান করা হবে। মেডিকেল টিমের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে আমাদের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, শহরের ফ্লাইওভারসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও মোড়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য ব্যানার, ফ্ল্যাঙ, ফেস্টুন ও অস্থায়ী বিল বোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে।