চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক মিশন সফল করতে চট্টগ্রাম চেম্বারকে নতুন ধাচে তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে টানা পাঁচবার চেম্বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড সৃষ্টিকারী জনপ্রিয় ব্যবসায়ী নেতা মাহবুবুল আলম বলেছেন, চট্টগ্রামে জাপান, চীনসহ বিভিন্ন দেশ কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। চট্টগ্রামে বিনিয়োগ নিয়ে জাইকার সাথে চেম্বারের এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করতে আসা জাপানের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের চট্টগ্রামে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারে জাপানের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ডেস্ক চালু করা হচ্ছে। যেখানে জাপানের যে কোন বিনিয়োগকারী ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সার্ভিস পাবে। আবার বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও জাপানে রপ্তানির ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য এই ডেস্ক থেকে পাবেন। দেশে প্রচুর জাপানি বিনিয়োগকারী আসছেন যাদের জন্য এই ডেস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারে জাপানি ভাষা শিক্ষার একটি কোর্স চালু করা হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির এঙিকিউটিভেরা এখানে জাপানি ভাষা শিক্ষার সুযোগ পাবেন। যা জাপানি বিনিয়োগকারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিনিয়োগের তীর্থক্ষেত্র চট্টগ্রামকে আরো বিনিয়োগ বান্ধব করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম চেম্বার অগ্রনী ভূমিকা রাখবে।
চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে, চারটি ইকোনমিক জোন গড়ে উঠছে। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হচ্ছে। মহেশখালীতে নির্মিত হচ্ছে এনার্জি হাব, মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর। বৃহত্তর চট্টগ্রামে যে অর্থনৈতিক মহাযজ্ঞ চলছে তা সফল করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম চেম্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারে বাংলাদেশ সেন্টার ফর এঙিলেন্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। লিডারশিপ ট্রেনিং, মিডলেবেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে এই সেন্টার থেকে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির এইচআর (মানবসম্পদ) বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে চেম্বার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ ৩৩ কর্মকর্তাকে আইবিএ’র কোর্স সম্পন্ন করানো হয়েছে। এই কোর্স ভবিষ্যতেও চলবে। এছাড়া ভারত, নেদারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথেও যোগাযোগ চলছে। যাদের এখানে এনে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কোর্স পরিচালনা করা হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃত্বে তারুণ্যের বিপ্লব ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের ২৪ জন পরিচালকের মধ্যে তরুন পরিচালক এসেছেন ১১ জন। পুরানোদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই নতুন নেতৃত্ব চট্টগ্রাম চেম্বারকে একটি ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
করোনাকালীন ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে চেম্বার প্রেসিডেন্ট বলেন, চট্টগ্রামের বহু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়েছেন। বহু ব্যবসায়ীর পিট দেয়ালে ঠেকে গেছে। একেবারে খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছেন বহু ব্যবসায়ী, শিল্পপতি। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারের আরো বেশি এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার প্রনোদনা দিয়েছে। কিন্তু তা চট্টগ্রামের মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাঙ্খিত প্রনোদনা পাননি। প্রনোদনা প্রদানেরর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক আরো ইতিবাচক ভূমিকা রাখলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শিল্পপতিরা সুফল পেতেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। .