প্রথম সন্তানের মুখ না দেখেই চলে গেলেন ইব্রাহিম

| মঙ্গলবার , ৭ জুন, ২০২২ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রথম সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার কথা জুলাইয়ে, তার আগেই জীবনের আলো নিভে গেল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ইব্রাহিম হোসেনের। শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪১ জনের একজন ইব্রাহিম (২৭)। তার বাড়ি উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কাশেম মুন্সী ও দুলুপি বেগমের ছোট ছেলে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল সোমবার ভোরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এলে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। ইব্রাহিমের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুন্নি বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। শোকে নির্বাক হয়ে গেছেন বাবা-মা। বিলাপ করছিলেন দুই বোন সেলিনা ও হালিমা।

ইব্রাহিম বেসরকারি কোম্পানি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এঙপোর্ট শিপিং সহকারী পদে চাকরি করতেন। তার খালাতো ভাই নাজমুল হোসেনও একই কোম্পানিতে অন্য একটি শাখায় কাজ করেন।

নাজমুল হোসেন বলেন, ইব্রাহিমের স্ত্রীর ডেলিভারির জন্য জুলাইয়ে দিন দিয়েছেন চিকিৎসক। কথা ছিল, তিনি ছুটিতে বাড়ি এসে সন্তানের মুখ দেখবেন। তার আগেই তাকে চলে যেতে হলো। শনিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দগ্ধ হন ইব্রাহিম। এর আগে বাড়িতে মা-বাবা, স্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তিনি। অনেকের মতো ইব্রাহিম আগুনের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কিছু সময় পর ডিপোর কন্টেনারগুলো বিস্ফোরিত হয়। এরপর থেকে ইব্রাহিম নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ পাওয়া য়ায়। নাজমুল হোসেন আরও বলেন, তার মাথার পিছনে ও পেটে ভারি কিছুর আঘাত ও দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে। মুখ, টি শার্ট ও মোবাইল ফোন দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। মৃত্যুর পরও তার মোবাইল ফোনের ভিডিও অপশন চালু ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিপোয় রাসায়নিক রাখার কথা বলেনি কর্তৃপক্ষ : পরিবেশ অধিদপ্তর
পরবর্তী নিবন্ধনিখোঁজ ফায়ারকর্মী শফিউলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী দুশ্চিন্তায়