প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে লেজেন্ড মর্যাদা বেলিন্ডা ক্লার্কের

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট, ২০২৫ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নারী ক্রিকেট অধিনায়ক বেলিন্ডা ক্লার্ককে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে ‘লেজেন্ড’ মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। কোনো নারী ক্রিকেটারেরই এমন সম্মাননা এবারই প্রথম। বেলিন্ডা মাত্র ষষ্ঠ ক্রিকেটার, যিনি এই সম্মান পেলেন। এর আগে ডন ব্র্যাডম্যান, কিথ মিলার, রিচি বেনো, ডেনিস লিলি এবং শেন ওয়ার্ন এই স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। হল অব ফেম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সম্মান দেওয়া হয় খেলাধুলায় অসাধারণ সাফল্য, দীর্ঘদিনের অবদান, স্থিতিশীলতা এবং আজীবন নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ। ক্লার্ককে বলা হয় নারী ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি ওয়ানডেতে ৪৭.৪৯ এবং টেস্টে ৪৫.৯৫ গড়ে রান করেছেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে অধিনায়ক এবং ১১ বছর দলকে নেতৃত্ব দেন বেলিন্ডা। তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ১০১ ওয়ানডের মধ্যে ৮৩ ম্যাচে জয় পায় এবং জেতে দুটি বিশ্বকাপ শিরোপা। ১৯৯৭ সালের বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে অপরাজিত ২২৯ রান করেছিলেন ক্লার্ক। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে সেটিই ছিল তখন প্রথম ব্যাটারের ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ক্লার্ক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসক ও আইসিসি নারী ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে নারী ক্রিকেট বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য এক সম্মান। বিস্ময়, কৃতজ্ঞতা ও গর্ব; সব একসাথে অনুভব করছি। আমি দলগত খেলোয়াড় ছিলাম, আর সবার সহায়তা ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না। আশা করি আমার সতীর্থরা, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও প্রশাসনও এই স্বীকৃতির অংশ মনে করবেন।’

স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান ব্রুস ম্যাকাভানি বলেন, ‘তিনি পথিকৃৎ, দুর্দান্ত ব্যাটার; যিনি আক্রমণাত্মক খেলার ধারা চালু করেছিলেন। খেলোয়াড়, অধিনায়ক এবং পরবর্তীতে প্রশাসক হিসেবে তার নেতৃত্ব ও প্রভাব অতুলনীয়।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমরানুরের বদলে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে যাচ্ছেন রনি
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা দলের সহকারী ম্যানেজার